Jealousy at work

সহকর্মীরা কি গোপনে ঈর্ষা করছেন আপনাকে? ৯ লক্ষণ দেখেই চটপট বুঝে যাবেন! তখন কী করবেন?

আপনার সামনে এক, কিন্তু আড়ালে অন্য রকম। এমন কি কেউ আছেন, যে মানুষ গোপনে আপনার প্রতি ঈর্ষাকাতর? তা হলে সেই মানুষটিকে চিনবেন কী করে?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ জুন ২০২৪ ১১:২২
Signs your coworkers are jealous of you

সহকর্মীরা ঈর্ষান্বিত বুঝবেন কী ভাবে। ছবি: ফ্রিপিক।

অপনার কি কখনও মনে হয়েছে যে, সহকর্মীরা আপনাকে হিংসে করছে? আপনার সব কথায় টিপ্পনি কাটছে? ভাল ব্যবহারই করছে না? অথবা আড়ালে আপনাকে নিয়ে হাসাহাসি করছে?

Advertisement

তা’হলে গোড়ায় কিছু কথা বলে, মূল প্রসঙ্গে আসব। অপরের সব ভাল, আর আমার কিছু হচ্ছে না!— এই মনোভাব থেকে যে মানসিক জ্বলন, ভাল না লাগা, রাগ— সেটাই কিন্তু ঈর্ষা। মনোবিদেরা বলেন, ঈর্ষা মনের এমন এক অবস্থা, যা শরীরের জন্য তো বটেই মনের জন্যও বিপজ্জনক। হিংসা থেকে অপরের ক্ষতি কামনা বা ক্ষতি করার বাসনা মনে জাগলে, তা থেকে পরবর্তী সময়ে অপরাধ মানসিকতার জন্ম হয়।

এ বার বলি, প্রকাশ্যে যাঁরা আপনাকে হিংসা করেন, তাঁদের আপনি সহজেই চিহ্নিত করতে পারবেন। তাঁদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলতে পারবেন খুব সহজেই। কিন্তু এমন বহু মানুষ আছেন, যাঁরা হিংসা করেন গোপনে। এঁদের সহজে আপনি বুঝতে পারবেন না। তবে মনোবিদেরা বলছেন, এমন কয়েকটি লক্ষণ আছে, যা দেখে হিংসুটেদের আপনি সহজেই চিনে নিয়ে সতর্ক থাকতে পারবেন। চাইলে তাঁদের সংস্পর্শ এড়িয়েও চলতে পারবেন।

১. দেখবেন, এমন মানুষেরা সর্বদা আপনার খুঁত ধরবেন। আপনার প্রতিটা কথায় ব্যঙ্গ করবেন। এঁদের থেকে সাবধান।

২. আপনার প্রশংসা তাঁদের মুখে আসবেই না। যতই ভাল কাজ করুন অথবা তাঁদের উপকারও করুন না কেন, আপনার স্তুতি কখনওই করবেন না তাঁরা। এমনকি, কৃতজ্ঞতাও জানাবেন না।

৩. কেউ কি আপনাকে অযাচিত ভাবে উপদেশ দিচ্ছেন? এমন কাজ করতে বলছেন, যা আপনার জন্য সঠিক না-ও হতে পারে? তা হলে এমন মানুষজনের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলাই ভাল।

৪. আপনার প্রতিটি কাজে এঁরা বাধা দেন, বা দেবেন। এমন পরিবেশ বা পরিস্থিতি তৈরি করেন বা করবেন, যাতে আপনি নিশ্চিন্তে কাজ করতে না পারেন। তার পর আপনার কাজ নকল করেই নিজেরা বাহবা নেওয়ার চেষ্টা করবেন।

৫. কেউ যদি আপনার কোনও সাফল্যকে ছোট করে দেখেন, জানবেন, তিনি আপনার প্রতি ঈর্ষাকাতর।

৬. খেয়াল রাখবেন, আপনার পিছনে কেউ কোনও গুজব রটাচ্ছে কি না। আপনার আড়ালে আপনাকে নিয়ে হাসাহাসি, কটূক্তি করছে কি না। তা হলে জানবেন, তিনি গোপন ঈর্ষা থেকেই এই কাণ্ড ঘটাচ্ছেন।

৭. আপনি যাকে বিশ্বাস করতেন, হঠাৎই যদি দেখেন তাঁর আচরণ বদলে গিয়েছে, আপনার প্রতি ব্যবহারেও বদল এসেছে, তা হলে সতর্ক থাকতে হবে। বিশ্বাস করে তাঁকে কোনও কথা না বলাই ভাল।

৮. যদি দেখেন,কেউ আপনার সামনে এক রকম আচরণ করছেন, আড়ালে আপনার নামে কুৎসা রটানোর চেষ্টা করছেন, তা হলে সতর্ক হতে হবে।

৯. যদি দেখেন, আপনার থেকে কেউ সমস্ত ব্যক্তিগত কথা জেনে নিচ্ছেন বা জানার চেষ্টা করছেন, কিন্তু নিজেকে গোপন রাখছেন, তাঁর থেকেও সাবধান থাকতে হবে। হয়তো দেখলেন, আপনি তাঁকে ভরসা করে কিছু বললেন, পরে শুনলেন আরও পাঁচজন সেই কথাটা জেনে ফেলেছেন। তা হলে বুঝবেন, আপনার থেকে কথা জেনে নিয়ে তা ফাঁস করার চেষ্টা করছেন তিনি। সে সব মানুষকে চিহ্নিত করে তাঁদের সংস্পর্শ এড়িয়ে চলুন।

আরও পড়ুন
Advertisement