Safety tips for Diwali celebrations

বাজি থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখুন ছোটদের, বিপদ এড়াতে কী কী করবেন বাবা-মায়েরা?

বাড়ির ছাদে, আবাসনে বা রাস্তায় অনেকেই বাজি পোড়াবেন। তাই ছোটদের সব সময়েই সাবধানে রাখতে হবে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২৪ ১০:২৩
How to ensure a safe Diwali for your Children

বাজি থেকে দুর্ঘটনা এড়াতে কী কী খেয়াল রাখবেন? প্রতীকী ছবি।

কালীপুজোর দিনে বাজি পোড়ানোর বায়না করবেই ছোটরা। শব্দবাজি না হলেও ছোটদের জন্য ফুলঝুরি, রংমশাল বা নিদেনপক্ষে তুবড়ি কিনে দেবেন অনেক অভিভাবকেরাই। বাড়ির ছাদে, আবাসনে বা রাস্তায় অনেকেই বাজি পোড়াবেন। তাই ছোটদের সব সময়েই সাবধানে রাখতে হবে। বাজি ফেটে হাত-পা, মাথা, মুখ বা চোখে যদি বড় ধরনের আঘাত লাগে কিংবা পুড়ে যায়, তা হলে সঙ্গে সঙ্গে কী ব্যবস্থা নিতে হবে, তা-ও ভেবে রাখা দরকার।

Advertisement

কয়েকটি সাধারণ বিষয় মাথায় রাখলেই বাজি থেকে বড় ধরনের দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।

মাস্ক জরুরি

চিকিৎসক প্রিয়ঙ্কর পাল জানাচ্ছেন, বাজির ধোঁয়া শিশুদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক। তাই শিশু যদি বাইরে যায়, তা হলে অবশ্যই মাস্ক পরাতে হবে।

পোশাক কেমন হবে

বাজি পোড়াতে যাওয়ার সময় অবশ্যই সুতির পোশাক পরতে হবে, কৃত্রিম সুতোর পোশাক নয়। ঝোলা, বেশি ঘেরওয়ালা বা কৃত্রিম সুতি অথবা সিন্থেটিক, জর্জেটের পোশাক পরে বাজি পোড়াতে গেলে ভয়ানক বিপদের সম্ভাবনা থাকে।

প্রাথমিক চিকিৎসাটুকু জেনে রাখুন

যেখানে বাজি পোড়ানো হচ্ছে, সেখানে এক বালতি জল এনে রাখতে হবে। আগুনে পোড়ার একমাত্র প্রাথমিক চিকিৎসা ঠান্ডা জল। ফুলঝুরি বা রংমশাল থেকে আগুনের ফুলকি হাতে পায়ে লাগলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পোড়া জায়গা জলে ডুবিয়ে রাখা উচিত।

হাতের কাছে ব্যান্ডেড, গজ, তুলো, অ্যান্টিসেপটিক মলম রাখতে হবে। হাত বা পায়ের কোথাও পুড়ে গেলে ক্ষতস্থান ভাল ভাবে ধুয়ে, বাড়িতে থাকা অ্যান্টিসেপটিক মলম লাগিয়ে নিতে হবে। ক্ষত যদি গভীর হয়, তা হলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

খোলা ছাদে বা উঠোনে বাজি পোড়ানো উচিত, ঘরে বা ঘেরা বারান্দায় নয়। যে বাজি ফাটছে না, তা ফের জ্বালানোর চেষ্টা না করাই ভাল। পুরনো বাজি ফাটানো বিপজ্জনক। বাজি ফাটানোর আগে তা ভাল করে রোদে দিন।

মোমবাতি বা প্রদীপ থেকে আগুন ধরার ব্যাপারেও সতর্ক থাকুন। মাটিতে নয়, কোনও উঁচু জায়গায় প্রদীপ বা মোমবাতি রাখুন।

শিশুর যদি ত্বকে অ্যালার্জির ধাত থাকে, তা হলে বারুদের ধারেকাছে না যাওয়াই ভাল। যদি যেতেই হয় তা হলে শরীরের খোলা জায়গায় ভাল করে নারকেল তেল মাখিয়ে দিন। তা হলে ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।

আরও পড়ুন
Advertisement