স্বামীকে অন্য মহিলার সঙ্গে কথা বলতে দেখলে বা ছবি তুলতে দেখলে মনের মধ্যে অস্বস্তি হয়? ছবি- সংগৃহীত
সপ্তাহান্তে বন্ধুবান্ধব মিলে প্রায়ই হুল্লোড় করেন। খানাপিনার ব্যবস্থাও থাকে। স্বামীর বন্ধুরা এবং তাঁদের স্ত্রীরাও এখন পরিবারের মতো হয়ে গিয়েছে। কিন্তু স্বামীকে অন্য মহিলার সঙ্গে কথা বলতে দেখলে বা গায়ে গা ঘেঁষে ছবি তুলতে দেখলেই আপনার মনের মধ্যে কেমন যেন অস্বস্তি হতে শুরু করে। নিজেকে বহু বার বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। কিন্তু লাভ হয়নি। স্বামী যে আপত্তিকর আচরণ করেন, তেমনটাও নয়। অথচ এই অস্বস্তি থেকে মনের মধ্যে অকারণেই রাগের উদ্রেক হয়। সেখান থেকে মান-অভিমান, ঝগড়া। দিনের পর দিন যেন নিজেদের সম্পর্ক ক্রমশ তলানিতে ঠেকছে।
মনোবিদদের মতে, স্বামী বা স্ত্রী একে অপরের প্রতি দায়দায়িত্ব পালন করার পরেও মনের মধ্যে এমন কিছু ছোটখাটো প্রশ্ন থেকে যেতেই পারে। বহু দিনের চেনা মানুষটিকেও অচেনা লাগতে পারে। তবে শুধুমাত্র সেই কারণে মনের মধ্যে সন্দেহ পুষে রাখার কোনও মানে হয় না। নিজেদের মধ্যে যদি কোনও ভুল বোঝাবুঝি থেকেও থাকে, তা নিজেদের মধ্যে কথা বলেই মিটিয়ে নেওয়া যেতে পারে।
১) খোলাখুলি আলোচনা করুন
স্বামীকে জানান ঠিক কোন বিষয়ে আপনার আপত্তি। কাদের সঙ্গে কথা বলতে দেখলে আপনার খারাপ লাগে। অন্য নারীর প্রশংসা শুনলে যদি খারাপ লাগে, তা স্বীকার করে নিতেও আপত্তি থাকার কথা নয়। উল্টো দিকের মানুষটি যদি স্পর্শকাতর হন, নিশ্চয়ই এই বিষয়ে সতর্ক হবেন।
২) ধৈর্য ধরে কথা শুনুন
নিজের কথা যেমন জানাবেন, তেমন উল্টো দিকে থাকা মানুষটির কথাও ধৈর্য ধরে শুনতে হবে। কিন্তু নিরপেক্ষ হয়ে শুনতে হবে। বিশেষ কোনও ঘটনার প্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না।
৩) বিশ্বাস হারাবেন না
অকারণের স্বামীর উপর সন্দেহ করাও কিন্তু এক প্রকার রোগ। নিজেরা কথা বলে যদি এই সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসতে না পারেন, সে ক্ষেত্রে মনোবিদের সাহায্য নিতে হবে।
৪) মূল্যায়ন করুন
কখনও কখনও নিজের এবং সম্পর্কের মূল্যায়ন করা জরুরি। এমন রাগ কি শুধু সামান্য কোনও ঘটনাকে কেন্দ্র করে হচ্ছে নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খুঁজে বার করতে হবে।
৫) নিজের পছন্দ-অপছন্দ নিয়ে আলোচনা করুন
আপনার মতো উল্টো দিকের মানুষটির মনেও আপনাকে নিয়ে অনেক প্রশ্ন থাকতে পারে। তাই দু’জনের ভাল লাগা, মন্দ লাগা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করুন। এতেই অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।