শিশুদের তো বটেই, বয়স্ক এবং অন্তঃসত্ত্বাদের রক্তে আয়রনের অভাব পূরণের জন্য এই ফল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ছবি- সংগৃহীত
বাড়ির আশপাশে, ঝোপ-জঙ্গলে অযত্নে বেড়ে ওঠা মিষ্টি একটি ফল ডুমুর। আগেকার দিনে পেটের সমস্যা হলেও ঠাকুরমা-দিদিমারা ডুমুরের ঝোল বা শুকনো ডুমুর ভেজানো জল খেতে বলতেন। বিভিন্ন জরুরি খনিজে ভরপুর এই ফলটিতে রয়েছে জিঙ্ক, ম্যাঙ্গানিজ, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রনের মতো যৌগ। শিশুদের তো বটেই, বয়স্ক এবং অন্তঃসত্ত্বাদের রক্তে আয়রনের অভাব পূরণের জন্য ডুমুর খেতে বলা হয়। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পুষ্টিবিদরা অনেক সময়েই সকালে খালি পেটে ডুমুর ভেজানো জল খাওয়ার পরামর্শ দেন। ইদানীং বাজারে শুকনো ডুমুর বা ফিগও কিনতে পাওয়া যায়। পুষ্টিবিদরা বলছেন, জলে ভেজানো হোক বা শুকনো, ডুমুর খাওয়া যায় যে কোনও ভাবে।
ডুমুর শরীরের কোন কোন উপকারে লাগে?
১) ডুমুরে ফাইবারের পরিমাণ বেশি। অন্ত্র ভাল রাখতে ফাইবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতেও শুকনো ডুমুর খেতে পারেন।
২) ডুমুরে রয়েছে অ্যাবসেসিক অ্যাসিড, ম্যালিক অ্যাসিড, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড— যা রক্তে শর্করার ভারসাম্য নিয়ন্ত্রণ করে।
৩) হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতেও সাহায্য করে ডুমুর। ক্যালশিয়ামে ভরপুর এই ডুমুর হাড়ের গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৪) উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডুমুর খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেকে। কারণ, ডুমুরে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি। এ ছাড়াও শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও ডুমুর উপকারী।
৫) অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট ছাড়াও শুকনো ডুমুরে রয়েছে ভিটামিন সি, ই এবং এ। যা ত্বকের নানা সমস্যার সমাধান করতে পারে।
৬) শুকনো ডুমুর খেলে আয়রনের পরিমাণ বাড়ে। ফলে রক্তাল্পতার সমস্যা থাকে না।
৭) পুরুষদের যৌনজীবনে বাড়তি সুখ পেতে চাইলেও খেতে হবে শুকনো ডুমুর।