চিকিৎসা জগতে এক যুগান্তকারী ঘটনা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। ছবি- প্রতীকী
স্বাভাবিক পদ্ধতিতে সন্তানধারণ করতে সমস্যা হলে অনেকেই ‘আইভিএফ’ পদ্ধতি অবলম্বন করেন। প্রতি বছর এই পদ্ধতিতে বিশ্বে প্রায় ৫ লক্ষ শিশুর জন্ম হয়। তবে এই পদ্ধতি বেশ জটিল, দীর্ঘ, শ্রমনিবিড় ও ব্যয়বহুল। প্রয়োজন হয় প্রশিক্ষিত ভ্রূণ বিশেষজ্ঞের। তবে এ বার বোধ হয় সেই চিন্তাধারায় বদল আনার সময় হয়েছে। বিশ্বে প্রথম বার রোবটিক সুচের সাহায্যে নারীশরীরে শুক্রাণু প্রবেশ করিয়ে গর্ভধারণ এবং জন্মগ্রহণ করানোর পদ্ধতিটি সফল হয়েছে। চিকিৎসা জগতে যা যুগান্তকারী ঘটনা বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
‘ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি’ (এমআইটি)-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, স্পেনের বার্সেলোনার এক দল প্রকৌশলী এই রোবোটিক নিডল বা সুচটি তৈরি করেছেন। বিশেষ এই সুচের সাহায্যে আমেরিকার একটি প্রজনন কেন্দ্রে এক তরুণীর শরীরে পরীক্ষামূলক ভাবে শুক্রাণু প্রবেশ করানো হয়। ‘এমআইটি’ টেকনোলজিতে রোবটিক নিডল ব্যবহার করে গর্ভধারণের পর সন্তানের জন্ম দেওয়ার ঘটনা বিশ্বে এটাই প্রথম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। দুই সদ্যোজাত এবং মা, সকলেই সুস্থ রয়েছেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই আধুনিক পদ্ধতির ইন-ভিট্রো ফার্টিলাইজ়েশনের (আইভিএফ) খরচ অনেকটা কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে। যে সংস্থা ওই সুচটি তৈরি করেছে, তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ডিভাইসটি আইভিএফ পদ্ধতির খরচ কমানোর পাশাপাশি এই পদ্ধতিকে স্বয়ংক্রিয় করার পথে আরও এক ধাপ এগিয়ে দেবে। বিশেষ ওই সুচ প্রস্তুতকারী সংস্থার প্রধান, প্রজননবিদ সান্তিয়াগো মুনে বলেন, “রোবটিক নিডলের প্রযুক্তি এক দিন কৃত্রিম প্রজনন কেন্দ্রের (ফার্টিলিটি ক্লিনিক) প্রয়োজন দূর করে দেবে।”