জীবনের প্রথম মিলনটা যেন খুব ভাল হয়, সে দিকে সচেতন থাকতে হবে মহিলাদের। ছবি: শাটারস্টক।
প্রথম বার মিলনের অভিজ্ঞতা সকলের মনেই আলাদা জায়গা করে নেয়। সেই অভিজ্ঞতা মনে থেকে যায় বহু দিন। সম্প্রতি ডায়ানা পেরাগিন নামে ইউনিভার্সিটি অফ টরন্টো মিসিসাগার এক গবেষক দাবি করেছেন যে, মহিলাদের প্রথম সঙ্গমের অভিজ্ঞতা কেমন, তার উপর নির্ভর করে ভবিষ্যতে যৌন চাহিদা কেমন থাকবে। তিনি তাঁর সমীক্ষায় জানতে পেরেছেন, পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের যৌন চাহিদা কম। সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে, মহিলারা তাঁদের প্রথম মিলনে চরম সুখ লাভ করেন না, তাঁরা পরবর্তী জীবনেও চরম সুখলাভে ব্যর্থ হন।
ডায়ানার সমীক্ষা অনুযায়ী, পুরুষদের তুলনায় অর্ধেকের বেশি মহিলাই প্রথম বার মিলন উপভোগ করেন না। যে মহিলারা প্রথম বারের মিলনেই চরম সুখ উপভোগ করেন, তাঁদের কাম অন্য মহিলাদের তুলনায় অনেক বেশি হয়।
ডায়ানার দাবি জীবনের প্রথম মিলনটা যেন খুব ভাল হয়, সে দিকে সচেতন থাকতে হবে মহিলাদের। ডায়না বলেন, ‘‘অনেকেই প্রথম সঙ্গম থেকে শিক্ষা নেন। তবে মহিলাদের মাথায় রাখতে হবে চরম যৌনসুখ লাভের অধিকার তাঁদেরও আছে। তাই প্রথম বারই যেন তিনি ভাল করে উপভোগ করতে পারেন সে বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে।’’
ইউনিভার্সিটি অফ টরন্টো মিসিসাগার ৮৩৪ জন ছাত্রছাত্রীকে নিয়ে এই সমীক্ষা করা হয়। সমীক্ষার তথ্য অনুযায়ী, পুরুষদের ক্ষেত্রে প্রথম মিলন তাঁদের পরবর্তী জীবনের যৌনসুখ উপঙোগ করার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে না।।
খিদে পাওয়া, ঘুম পাওয়ার মতো যৌনতাও মানুষের একটি স্বাভাবিক প্রবৃত্তি। নিঃসন্দেহে জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ও বটে। শারীরিক মিলন দু’টি মানুষের সম্পর্কের রসায়নকে আরও দৃঢ় করে। সার্বিক ভাবে সুস্থ জীবনের জন্যও অতি প্রয়োজনীয় সুখকর যৌনজীবন। মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসের সব দিন যৌন চাহিদা সমান হয় না। কোন সময়ে এই চাহিদা তুঙ্গে, তা জানা গেলেই মহিলারা আরও বেশি মিলন উপভোগ করতে পারবেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যে সময়ে মহিলাদের অভিউলেশন (ডিম্বস্ফোটন) হয়, তখন তাঁদের মধ্যে সঙ্গমের ইচ্ছা প্রবল হয়। তাই প্রথম মিলনের ক্ষেত্রে সেই বিষয়টিও মাথায় রাখতে পারেন মহিলারা।