Parenting Tips

রাহাকে নিয়ে ছুটি কাটাচ্ছেন আলিয়া, খুদেকে নিয়ে বেড়ানো কতটা জরুরি , বলছেন মনোবিদ

ছুটিছাটা পেলেই তারকা বাবা-মায়েরা সন্তানদের নিয়ে বেড়িয়ে পড়েন। বেড়ানো কি শুধু বিলাসিতা, না কি খুদের জীবনেও এর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে?

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫ ১৬:১৩
সন্তানদের নিয়ে মাঝেমধ্যেই বেড়াতে যান তারকারা। খুদের জন্য তা কতটা জরুরি?

সন্তানদের নিয়ে মাঝেমধ্যেই বেড়াতে যান তারকারা। খুদের জন্য তা কতটা জরুরি? ছবি: ইনস্টাগ্রাম।

নতুন বছরে পরিবারের সঙ্গে ছুটি কাটাচ্ছেন বি-টাউনের অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট। সমাজমাধ্যমে ছোট্ট রাহা আর স্বামী রণবীর কপূরের ছবিও ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। তার কোনওটিতে দেখা যাচ্ছে জাহাজে তিন মূর্তি ক্যামেরার সামনে পোজ় দিচ্ছেন, কখনও স্পিডবোটে চেপে মেয়ে রাহাকে পড়ন্ত বিকেল দেখাচ্ছেন আলিয়া। তিন জনের চোখেমুখে খুশির ঝলক।

Advertisement

শুধু আলিয়া নন, বিভিন্ন সময়ে অভিনেত্রী প্রিয়ঙ্কা চোপড়া থেকে করিনা কপূর বা সোহা আলি খানকে দেখা গিয়েছে স্বামী, সন্তানদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে। মাঝেমধ্যেই ব্যস্ত জীবন থেকে খানিক সময় বার করে তারকারা বেরিয়ে পড়েন ছুটি কাটাতে। এর কি আলাদা কোনও গুরুত্ব থাকে? আলিয়ার সন্তান তো মাত্র ২ বছর ছুঁই ছুঁই। সে কতটা বোঝে বেড়ানোর?

মনোসমাজকর্মী মোহিত রণদীপের কথায়, বাবা-মায়ের সঙ্গে নতুন শহর চেনা, প্রকৃতিপাঠ, পরিবারকে হাসিখুশি দেখতে শেখা খুদের মনোজগতেও বদল ঘটায়। বাবা-মায়ের বন্ধন সন্তানের জীবনে নিরাপত্তার বোধ তৈরি করে।

শিশুর জীবনে বেড়ানো কেন গুরুত্বপূর্ণ?

নিরপত্তাবোধ

বেড়ানো মানে দৈনন্দিন ব্যস্ততা থেকে মুক্তি। বাবা, মায়ের সঙ্গে শিশু যখন বেড়াতে যায়, তাঁদের হাসখুশি দেখে, তাঁদের সঙ্গে সময় কাটায়, তখন তার মনেও কোথাও যেন নিরাপত্তাবোধ তৈরি হয়। এর ফলে পারিবারিক বন্ধন দৃঢ় হয়। তবে মোহিত বলছেন, ‘‘বেড়াতে গিয়ে বাবা-মাকে ঝগড়া করতে দেখলে কিন্তু সন্তানের মনোজগতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। তাই মতান্তর হলেও তা কৌশলে সামলাতে হবে।’’

বিস্ময়

খুদের মনোজগতে সব সময় বিস্ময় কাজ করে। কারণ, এই সময় সে নতুন নতুন জিনিস দেখে। বাবা-মায়ের হাত ধরে নতুন কোথাও যাওয়া মানে নতুন জায়গা চেনা। অনেক মানুষ দেখা। এ ভাবে জীবনের বৈচিত্রের সঙ্গে সে ধীরে ধীরে পরিচিত হতে পারে। তার মনের কৌতূহল যেমন বাড়ে, তার মধ্যে সামাজিক বোধ তৈরি হয়। কী ভাবে অন্যের সঙ্গে কথা বলতে হয়, বড়দের দেখে সে একটু একটু করে শিখতে পারে।

প্রকৃতিপাঠ

খুদেকে যদি তার মতো করে শেখানো যায়, তবে বেড়ানো তার কাছে আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। নতুন জায়গার গাছের পাতা তাকে ধরতে দেওয়া, ফুল চেনানো, নদী, পাহাড়, ঝর্না চিনতে শেখা তার মনোজগৎকে সমৃদ্ধ করে। মনোসমাজকর্মীর কথায়, শহরে কোনও দিন হয়তো খুদের ছাদে ওঠা হয় না। তারা দেখাও হয় না। শহর থেকে দূরে কোথাও গেলে অবসরে যদি তাকে আকাশ দেখানো যায়, তারা চেনানো যায়, সে-ও কিন্তু খেলার ছলে শিখতে থাকে।

আনন্দ

পড়াশোনা, ঘন ঘন পরীক্ষা অনেক শিশুর জীবনে চাপ হয়ে দাঁড়ায়। কয়েকটা দিন পড়া থেকে ছুটি, আনন্দ বড়দের মতোই তাদের কাছেও ভাল লাগার কারণ হয়ে ওঠে।

তবে এরই পাশাপাশি কয়েকটি বিষয়ে বাবা-মাকেও সচেতন হতে বলছেন মোহিত। প্রথমত, সন্তানের সামনে নিজেদের মধ্যে ঝগড়াঝাঁটি নয়। মতের অমিল শান্ত ভাবেও মেটানো যায়। দ্বিতীয়ত, বেড়ানোর ক্ষেত্রে সকলের মত মর্যাদা পাক। শিশু কী চাইছে, সেটাও শোনা দরকার। তৃতীয়ত, বেড়াতে গেলে খুদের জন্যও ব্যাকপ্যাক থাকুক, যেখানে তার প্রয়োজনের জিনিস থাকবে। মোহিতের কথায়, এতে খুদের মধ্যে যেমন দায়িত্বশীলতা জন্মাবে, তেমনই সে ধীরে ধীরে স্বনির্ভর হতে শিখবে।

Advertisement
আরও পড়ুন