Weird but Truth

জয়ার ‘প্রেমে’ বিদেশিনী, পাসপোর্ট, ভিসা হাতে নিয়ে বারাণসীর ‘নেড়ি’ চলল নেদারল্যান্ডসে

বন্ধুর সঙ্গে মন্দির শহর বারাণসীর অলি-গলিতে ঘুরতে ঘুরতে এক দিন হঠাৎ জয়ার সঙ্গে দেখা হয় মেরালের। তাকে দত্তক নেওয়া থেকে নিজের দেশে নিয়ে যাওয়ার জন্য যা যা প্রয়োজন, সবটাই নিজের হাতে করলেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:৩৮
Raised on lanes of Varanasi, street dog set to fly with Dutch owner.

নেড়ি যাবে নেদারল্যান্ডস! ছবি: সংগৃহীত।

বিদেশে পাড়ি দেওয়ার জন্য যা যা দরকার, সবই হয়ে গিয়েছিল। বাকি ছিল শুধু পাসপোর্ট এবং ভিসা। এ বার সেই নথিও হাতে পেল ‘জয়া’। তা হলে আর বিলম্ব কেন? বিদেশি মালকিন মেরাল বন্টেনবেল-এর হাত ধরে বারাণসীর অলিগলি ছেড়ে পথকুকুর জয়া পাড়ি দিচ্ছে নেদারল্যান্ড্‌স।

Advertisement

আমস্টারডামের বাসিন্দা মেরাল এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, পথ সারমেয়দের প্রতি ভালবাসা ছিলই। এমন কাউকে বাড়িতে আশ্রয় দিতেও চাইতেন তিনি। তবে জয়ার সঙ্গে দেখা হওয়ার গোটা বিষয়টাই আচমকা হয়েছে। বন্ধুর সঙ্গে মন্দির শহর বারাণসীর অলিগলিতে ঘুরতে ঘুরতে এক দিন হঠাৎ জয়া সঙ্গে দেখা হয়। মেরাল বলেন, “আলাপ হওয়ার পর থেকে ও প্রায় সময়ই আমাদের সঙ্গে থাকত। দেখতে পেলেই আমাদের পিছু নিত। ওর মিষ্টি, শান্ত স্বভাবের জন্যই আমরা ওকে আরও বেশি ভালবেসে ফেলেছিলাম।” তবে জয়াকে দত্তক নেওয়ার কথা তখনও মাথায় আসেনি মেরালের। তবে স্নেহ যে অতি বিষম বস্তু, তা ক্রমে টের পাচ্ছিলেন তিনি।

মেরালের দেশে ফিরে যাওয়ার সময় এগিয়ে আসতেই তিনি ঠিক করে ফেলেন, জয়াকে এখানে ফেলে তিনি কোথাও যাবেন না। স্রেফ ভালবাসার টানেই আরও মাস ছয়েক বারাণসীতে কাটিয়ে দেন মেরাল। পাশাপাশি চলতে থাকে জয়াকে দত্তক নেওয়ার প্রক্রিয়া। বিদেশি হয়ে দেশি পথকুকুরকে দত্তক নেওয়ার বিষয়টি একেবারেই সহজ ছিল না। জয়াকে নিজের সঙ্গে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পাসপোর্ট, ভিসার আবেদনও তত দিনে সারা হয়ে গিয়েছিল। অবশেষে সেই সমস্ত নথিপত্র হাতে পেলেন মেরাল। এ বার শুধু বিমানে ওঠার অপেক্ষা।

আরও পড়ুন
Advertisement