গর্ভপাতে গোলমাল, সন্তান হারালেন তরুণী। ছবি: সংগৃহীত।
রুটিন চেকআপ করতে হাসপাতালে এসে গর্ভস্থ সন্তানকে হারালেন চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক বিদেশিনি। ঘটনাস্থল ইউরোপের প্রাগ শহরের এক বেসরকারি হাসপাতাল। গোটা ঘটনার জন্য দায়ী হাসপাতালের চিকিৎসক এবং নার্স। অন্য এক জনের বদলে ওই তরুণীর গর্ভপাত করিয়ে দিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তবে এই ঘটনার পরে নিজেদের দোষ ঢাকতে চিকিৎসকেরা ওই তরুণীর ভাষাকেই দায়ী করেছেন। তরুণী কোন ভাষায় কথা বলছিলেন সেটা নাকি তাঁরা বুঝতেই পারেননি। সেই কারণেই বুঝতে ভুল হয়েছে। তা ছাড়া, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, গর্ভপাতের সময় তরুণী নাকি কোনও বাধা দেননি।
গর্ভের সন্তান হারিয়ে মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন তরুণী। তিনি ইউরোপের বাসিন্দা নন। অন্য দেশ থেকে এসেছেন। তবে অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর থেকেই প্রাগে থাকতে শুরু করেছিলেন। এর আগেও এই হাসপাতালে এসেছিলেন শারীরিক পরীক্ষার জন্য। এই নিয়ে বার তিনেক তিনি এসেছেন। প্রতি বারের মতো এ দিনও ওই তরুণী হাসপাতালে এসে অপেক্ষা করছিলেন চিকিৎসকের জন্য। সূত্রের খবর, হঠাৎই এক নার্স এসে তাঁকে ভিতরে ডেকে নিয়ে যান। নার্সের পরামর্শ মতো বিছানায় শুয়ে পড়েন ওই তরুণী। সেই সময়ে দু’জন চিকিৎসক আসেন সেখানে।
তরুণীর প্রথম দিকে একটু খটকা লেগেছিল। পরে শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা হচ্ছে ভেবে আর কিছু বলেননি। এক জন চিকিৎসক একটি ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরেই তিনি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিলেন। তার পরে আর কিছু মনে নেই ওই তরুণীর। জ্ঞান ফেরার পর তিনি বুঝতে পারেন, তাঁর জীবনে কী বিপর্যয় নেমে এসেছে। কিন্তু তখন যা হওয়ার, তা হয়ে গিয়েছে। আর কিছু করার নেই। সে দিন অন্য এক জন তরুণীর গর্ভপাত করানোর কথা ছিল। কিন্তু তিনি আসতে দেরি করায় বুঝতে ভুল হয়েছে বলে সাফাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।