কোন বয়সিদের স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি? ছবি: সংগৃহীত।
ভারতে ২০১৯ সালে ১৩ লক্ষেরও বেশি নতুন রোগী স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়েছেন। এই সংখ্যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। ল্যানসেট পত্রিকায় প্রকাশিত সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ভারতে ১ কোটিরও বেশি মানুষ স্ট্রোকের কারণে নানা রকম শারিরীক সমস্যায় ভুগছিলেন। ভারতের ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ (আইসিএমআর), শ্রীলঙ্কা এবং সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গবেষকরা এই সমীক্ষাটির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
স্ট্রোককে ব্রেন অ্যাটাকও বলা হয়। এক রকম স্ট্রোক হলে মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশে রক্ত সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়, একে বলে ইস্কেমিক স্ট্রোক। আবার অনেক ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের একটি রক্তনালি ফেটে গিয়ে রক্তক্ষরণ শুরু হয়, একে বলা হয় হেমোরেজিক স্ট্রোক। উভয় পরিস্থিতিতেই মস্তিষ্কের অংশগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হয়, অনেক ক্ষেত্রেই রোগীর প্রাণমাশের আশঙ্কা থাকে।
এই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, যে সব দেশে অধিকাংশ বাসিন্দাদের আয় কম সেই সব দেশগুলিতেই বেশি লোকে স্ট্রোকে আক্রান্ত হন। সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ২০২০ সালে বিশ্বে প্রায় ৬৬ লক্ষ মানুষ স্ট্রোকের কারণে মৃত্যু হয়েছিল। তবে গবেষকদের দাবি ২০৫০ সালে এই সংখ্যা ৯৭ লক্ষ ছাড়াবে। সমীক্ষায় আরও দেখা গিয়েছে যে বিশ্বে জুড়ে স্ট্রোক মৃত্যুর কারণ হিসাবে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে যে তরুণ ও মাঝবয়সিদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি দিনদিন বাড়ছে। ৫৫ বছরের কম বয়সিদের মধ্যে স্ট্রোকের ঝুঁকি বেশি।