ডুবোজাহাজ চড়ে ঘুরতে যাবেন? ছবি: সংগৃহীত।
টাইটানিক জাহাজের ধ্বংসাবশেষ ঘুরিয়ে দেখানোর জন্য পর্যটকদের নিয়ে অতলান্তিকের তলদেশে রওনা দিয়েছিল ডুবোজাহাজ টাইটান। তার পর ওই ডুবোজাহাজের কী পরিণতি হয়েছিল সে কথা কারও অজানা নয়। তবু অজানাকে জানার এবং অচেনাকে চেনার কৌতূহল তো মানুষের রক্তে। জলের তলদেশে যে আরও একটি পৃথিবী রয়েছে, তা স্বচক্ষে দেখার লোভ সামলাতে পারে না ভ্রমণপিপাসুর দল। রোমাঞ্চ ভালবাসেন এমন পর্যটকদের কথা মাথায় রেখেই এ বার ‘সাবমেরিন ট্যুরিজ়ম’ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুজরাত সরকার। যা ভারতে প্রথম।
ডাঙায় দাঁড়িয়ে থাকা ডুবোজাহাজের ভিতরে প্রবেশ করার সুযোগ হয়তো অনেকেরই হয়েছে। এক সময়ে নৌবাহিনীর প্রথম সারিতে থাকা ‘আইএনএস কুরসুরা’ এখন অবসরপ্রাপ্ত। পর্যটকদের জন্য সেই ডুবোজাহাজটিকে সাবমেরিন মিউজ়িয়াম হিসাবে রেখে দেওয়া হয়েছে। ভাইজ্যাক ঘুরতে গেলেই দেখা যায় সেই জাহাজটি। কিন্তু এর আগে ডুবোজাহাজে করে জলের তলায় ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ সাধারণ মানুষ পাননি।
গুজরাতের পর্যটন বিভাগ জানিয়েছে, এই প্রকল্পটির জন্য মাজগাঁও ডক লিমিটেড-এর সঙ্গে হাত মিলিয়েছে ওই রাজ্যের সরকার। ২০২৪ সালে দীপাবলির আগেই এই প্রকল্পটি শুরু হওয়ার কথা। ৩৫ টন ওজনের ওই ডুবোজাহাজটি একসঙ্গে ২৪ জন পর্যটক নিয়ে সমুদ্রের ১০০ মিটার নীচ থেকে ঘুরে আসবে। জাহাজটি পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন দু’জন অভিজ্ঞ পাইলট এবং এক জন ক্রু। পর্যটকদের জন্য অক্সিজেন মাস্ক থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা-সহ যাবতীয় সুযোগসুবিধা থাকবে সাবমেরিনের মধ্যে।
গুজরাতের পর্যটনশিল্পের প্রসারের উদ্দেশ্যে এই প্রকল্প চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। দেশের অন্যতম মন্দির শহর দ্বারকা। পুরী, বেনারস, মথুরার মতো দ্বারকাও পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেছে গুজরাত পর্যটন বিভাগ।