ব্যাটার হিসাবে তো বটেই, আলাদা করে ক্রিকেটপ্রেমীদের নজর টেনেছে সূ্র্যকুমারের ফিটনেসও। ছবি: সংগৃহীত
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ের তৃতীয় ম্যাচে ৪৫ বলে শত রান করার পর থেকে নতুন নায়ক সূর্যকুমার যাদব। টি-টোয়েন্টিতে এটি তাঁর তৃতীয় শতরান। এই সিরিজ়ের প্রথম দু’টি ম্যাচে সূর্যকুমারকে চেনা ছন্দে পাওয়া যায়নি ঠিকই। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে সব আক্ষেপ মিটিয়ে নিলেন। রাজকোটের স্টেডিয়ামে প্রথম থেকেই আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে খেলছিলেন সূর্যকুমার যাদব। শ্রীলঙ্কার কোনও বোলারকে দাঁড়াতেই দেননি। একা হাতে টেনে নিয়ে গিয়েছেন গোটা ম্যাচ। ২০২২-এ একের পর এক ব্যর্থতা তাঁকে যেন আরও আগ্রাসী করে তুলেছে। ব্যাটার হিসাবে তো বটেই, আলাদা করে ক্রিকেট-প্রেমীদের নজর টেনেছে সূ্র্যকুমারের ফিটনেসও।
খেলোয়াড় মাত্রেই শারীরিক এবং মানসিক ভাবে ফিট থাকতে হবে, সেটাই স্বাভাবিক। বাইশগজে নিজেদের সবটা দেওয়ার জন্য পরিশ্রমের কমতি রাখেন না কেউই। তবে ফিটনেস ফ্রিক হয়ে থাকেন কেউ কেউ। সূর্যকুমার তাঁদের মধ্যে অন্যতম। ক্রিকেটের অনুশীলনের পাশাপাশি, নিজেকে সুস্থ-সচল, চনমনে রাখতে ভোলেন না।
ম্যাচ না থাকলে তো বটেই, থাকলেও শরীরচর্চায় খামতি দেন না। স্কোয়াট, ওজন তোলা, রোপ ট্রেনিং— সবই নিয়ম মেনে করেন তিনি। নিয়ম করে কার্ডিয়ো করেন। কার্ডিয়ো আর স্কোয়াট— নিজেকে সুস্থ রাখার প্রধান দু’টি অস্ত্র। ব্যস্ততা থাকলেও এই দু’টি শরীরচর্চা বন্ধ রাখেন না তিনি। তাঁর ফিটনেসের মূল মন্ত্র যে এই দুই ধরনের ব্যায়াম, সে কথা বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। সূর্যকুমারের মতে, শুধু জিমে যাওয়াই শরীরচর্চার শেষকথা নয়। নিয়ম করে দৌড়তেও যান তিনি। শরীর সচল রাখতে রোজের জীবনে পরিশ্রম করা জরুরি। বাড়িতে থাকলে ঘরের কাজে স্ত্রী দেবিশাকে সাহায্যও করেন তিনি। এ ছাড়া, ছেলেমেয়ের সঙ্গে সাঁতার কাটা, সাইকেল চালানো তো রয়েছেই। শরীরচর্চার পাশাপাশি ক্রিকেটারের কড়া নজর থাকে খাওয়াদাওয়ার উপরেও। এ ছাড়া সূর্যকুমারের প্রতি দিনের পাতে থাকে প্রোটিন-সমৃদ্ধ খাবার। শাকসব্জি, ফল তো থাকেই। বাইরের খাবার একেবারেই খেতে ভালবাসেন না তিনি। বাড়ির রান্না করা খাবারই তাঁর সবচেয়ে পছন্দের। প্রচুর পরিমাণে জল খান। নিজেকে আর্দ্র না রাখলে শরীরের চনমনে ভাব হারিয়ে যায়। খেলাতেও তার প্রভাব পড়ে। সে কারণে সারা দিনে শত কাজের মাঝেও জল খেতে ভোলেন না।