পিএফের টাকা তোলার কিছু নিয়ম ছবি: সংগৃহীত
এমপ্লয়ইজ প্রভিডেন্ট ফান্ডকে চলতি কথায় বলা হয় পিএফ। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী সঞ্চয় প্রকল্প। সাধারণত কোনও ব্যক্তি চাকরি করার সময়ে মাসিক বেতনের একটি অংশ এই সঞ্চয় প্রকল্পে দেন। গোটা কর্ম জীবনে মানুষ যত টাকা সঞ্চয় করেন তার একটি বড় অংশ এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশন নামক একটি প্রশাসক সংস্থার অধীনে চলা এই প্রকল্পে জমা হয়। যা অবসরের সময়ে হাতে পান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। পাশাপাশি কেউ দু’মাসের বেশি বেকার থাকলে কিংবা অবসরের আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মৃত্যু হলে এই টাকা আগে তুলে নেওয়া যায়। তা ছাড়াও বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে সময়ের আগেই তুলে নেওয়া যায় পিএফ এর টাকা।
১। চিকিৎসার জন্য: সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির অংশীদারিত্ব বা ছ’মাসের বেতনের মধ্যে যেটি কম তার সমান টাকা তোলা যেতে পারে চিকিৎসা খাতে। যাঁর পিএফ তিনি ছাড়াও, তাঁর বাবা, মা, স্ত্রী, স্বামী কিংবা সন্তানের অসুস্থতার জন্য তোলা যাবে টাকা। চাকরির যে কোনও সময়ই এই টাকা তোলা যায়।
২। বাড়ি তৈরির জন্য: নতুন বাড়ি বানানো, নতুন ফ্ল্যাট কেনা কিংবা গৃহঋণ শোধ করার জন্য তুলে ফেলা যায় পিএফের ৯০ শতাংশ টাকা। স্বামী-স্ত্রীর যৌথ বাড়ির ক্ষেত্রেও তোলা যাবে টাকা। তবে বাড়ি বানাতে টাকা তুলতে গেলে অন্তত ৫ বছর চাকুরি করা আবশ্যিক। গৃহঋণ শোধ করার জন্য টাকা তুলতে হবে অন্তত তিন বছর করতে হবে চাকরি। জায়গা কেনার ক্ষেত্রে ২৪ মাসের বেতন এবং বাড়ি কেনার বা বানানোর ক্ষেত্রে ৩৬ মাসের বেতন(বা অংশীদারিত্বের মধ্যে যেটি কম)-এর সমান টাকা তোলা যায়। ৫ বছরের বেশি চাকরি হয়ে গিয়ে থাকলে বাড়ি মেরামত করার জন্যেও তোলা যায় টাকা, এ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১২ মাসের বেতনের সমান টাকা তোলা যেতে পারে।
৩। বিবাহ: এই খাতে টাকা তুলতে চাইলে অন্তত সাত বছর চাকরি করতেই হবে। চাকুরিজীবি কোনও ব্যক্তি নিজের অংশের ৫০ শতাংশ টাকা সুদ সমেত তুলে ফেলতে পারেন বিবাহের জন্য। শুধু নিজের বিবাহ নয়, ভাই-বোন ও সন্তানের বিবাহের জন্যেও তোলা যাবে টাকা।
৪। অবসরের সময় এগিয়ে এলে: ৫৮ বছর বয়সের পরই গোটা সঞ্চয়ের নব্বই শতাংশই তুলে ফেলতে পারেন কোনও ব্যক্তি।
৫। বেকারত্ব: কোনও ব্যক্তি এক মাসের বেশি বেকার থাকলে পিএফের ৭৫ শতাংশ টাকা তুলে ফেলতে পারেন। দুই মাসের বেশি কাজ না থাকলে তুলে ফেলতে পারেন বাকি ২৫ শতাংশও।