অফিসের একঘেয়েমি কাটবে কী ভাবে ছবি: সংগৃহীত
অফিস যাত্রা নিয়ে মানুষের অনীহার অন্ত নেই। কখনও দেখা যায় কেউ এমন একটি পেশায় রয়েছেন যা আদৌ ভালবাসেন না তিনি। আবার এমনও হতে পারে, সহকর্মীদের বদান্যতায় কাজের পরিবেশ অসহনীয় হয়ে উঠেছে। অনেকে আবার দীর্ঘ দিন একই কাজ করতে করতে ভুগতে পারেন একঘেয়েমিতেও। রইল এমন কিছু টোটকা যা এই ধরনের সমস্যা সমাধানে হতে পারে চাবিকাঠি।
১। কাজের পরিসর: অনেকেরই কাজে অনুপ্রেরণা না পাওয়ার অন্যতম কারণ কাজের জায়গাটিই তাঁদের বিমাতৃসুলভ মনে হয়। এই সমস্যা সমাধানে নিজের টেবিলে পছন্দসই সাজানোর জিনিস রাখতে পারেন, রাখতে পারেন ছোট উদ্ভিদও। পিন আপ বোর্ড থাকলে পিন করতে পারেন কিছু ইতিবাচক এবং অনুপ্রেরণামূলক উদ্ধৃতি। অনেকে কাজের টেবিলে পরিজনের ছবি রাখতেও পছন্দ করেন।
২। সহকর্মী: সব অফিসেই কিছু কর্মীর অন্যদের সম্পর্কে বাজে কথা বলার প্রবণতা থাকে। এই ধরনের পরনিন্দা-পরচর্চা এড়িয়ে চলুন। সময় তো নষ্ট হয়ই, এই ধরনের আলোচনাতে কানে আসা কথা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সার্বিক মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।
৩। বিরতি: যে কোনও কাজই একটানা করে যাওয়া অসম্ভব। ফলে কাজের উৎকর্ষ বজায় রাখতে পর্যাপ্ত বিশ্রামের প্রয়োজন। একটানা কাজ করার বদলে বিরতি নিন প্রয়োজন মতো। এতে মন ও শরীর দুই’ই ভাল থাকবে। ৪০ মিনিট অন্তর চেয়ার থেকে উঠে একটু হেঁটে নিন। যাঁরা দীর্ঘ সময় ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারের সামনে কাজ করেন, তাঁদের ক্ষেত্রে কুড়ি মিনিট অন্তর বৈদ্যুতিন পর্দা থেকে চোখ সরানো খুবই প্রয়োজনীয়।
৪। প্যাশন: অনেককেই জীবিকার জন্য এমন কাজ বেছে নিতে হয় যা আদৌ তিনি পছন্দ করেন না। কাজের ক্ষেত্রে স্থিতবস্থা থাকলে নিজের পুরোনো কোনও নেশা ফের এক বার ঝালিয়ে নিতে পারেন। কেউ গান করতে পছন্দ করেন, কেউ আবার পছন্দ করেন নাচ, চিত্রকলা বা আবৃত্তির মতো সৃজনশীল কাজ। কাজের অবসরে ফের শুরু করে দিতে পারেন এই সৃজনশীল কাজগুলি।
৫। অনুপ্রেরণা: নিজেকে নিজেই অনুপ্রেরণা দিন। অনেকে কিছু দিন চাকরি করার পর স্বাধীন ভাবে নিজের কাজ শুরু করার পরিকল্পনা করেন। যদি অদূর ভবিষ্যতে এই ধরনের ইচ্ছে থাকে তবে দেরি না করে পরিকল্পনা শুরু করতে হবে অবিলম্বে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, কেউ যদি লেখক হতে চান, তবে কাজের ফাঁকে ফাঁকেই একটু একটু শুরু করে দিন লেখা। ভবিষ্যতের জন্য ফেলে রাখবেন না।