প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
লকডাউনে সকলেই কমবেশি আলসে হয়ে পড়েছেন। ঘরবন্ধি হয়ে রয়েছেন বহুদিন। একটুও বেরোনো নেই, বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা নেই, সহকর্মীদের সঙ্গে ক্যান্টিনে যাওয়া নেই, আত্মীয়স্বজনদের বাড়ি যাতায়াত নেই। তাই বেশির ভাগ মানুষই তাঁদের চেহারা নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না। কী পোশাক পরলাম, কেমন দেখতে লাগছে, চুল আঁচড়ালাম কিনা— এ সব নিয়ে আর কেউ ভাবছেন না। কিন্তু বাড়ি থেকে কাজ করলেও তো মাঝে মাঝে জুম মিটিং হচ্ছে। কখনও কখনও মুখও দেখাতে হচ্ছে। কিন্তু সেখানেও আপনি যদি উশকো-খুশকো চুলে হাজির হন, সেটা কি ভাল হবে? কী ভাবে নিজেকে এই মিটিংগুলোয় প্রস্তুত করবেন, জেনে নিন।
১। যতই বাড়িতে থাকুন, প্রত্যেক দিন স্নান করা আবশ্যিক। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে অতিমারিতে অনেকেই ২-৩ দিন অন্তর স্নান করছেন। আপনিও কি সেই দলে পড়েন? এই ভুলটা করবেন না। প্রত্যেকদিন কোনও সুগন্ধি শাওয়ার জেল বা পছন্দের সাবান দিয়ে স্নান করুন। বিশেষ করে বর্ষায় নানা রকম ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেগুলোর হাত থেকে বাঁচতে নিজেকে পরিষ্কার রাখা অত্যন্ত জরুরি।
২। মন ভাল রাখতে এবং ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে স্নানের পর পছন্দের কোনও সুগন্ধি ব্যবহার করতে পারেন। নিজে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে যে কোনও মিটিংয়েই আপনাকে বেশি আত্মবিশ্বাসী দেখাবে। সেটা অফিসে হোক বা কম্পিউটারের পরদায়।
৩। ত্বকের যত্ন নিন। যতই আলসেমি হোক, ক্লিনজিং, টোনিং, ময়েশ্চারাইজিং করতেই হবে। কিন্তু এর বাইরেও বাড়তি যত্নের প্রয়োজন। সপ্তাহে এক দিন স্ক্রাব ব্যবহার করা, ফেস প্যাক লাগানো। সেরাম ব্যবহার করা আর বাড়িতে থাকলেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করা অত্যন্ত জরুরি।
৪। মেকআপ না করলেও মিটিংয়ের আগে একটু কাজল আর যে কোনও উজ্জ্বল রঙের লিপস্টিক লাগাতে পারেন। চেহারা মুহূর্তে বদলে যাবে। কম পরিশ্রমে সুন্দর দেখানোর সেরা উপায় এটি। সময় থাকলে সামান্য মাস্কারাও দিতে পারেন। কোনও মেকআপ না করে যদি শুধু একটা প্রসাধনী বেছে নিতে হয়, তা হলে সেটা মাস্কারাই হোক।
৫। লকডাউনে এমন ভাবে চুল কাটবেন যেটা একটু বড় হলেই অন্য রকম দেখতে লাগবে। সহজ হেয়ারকটা যা স্বাভাবিক ভাবে বাড়বে, তেমন ভাবে চুল কাটুন। পিক্সি কাট কাটলেন, কিন্তু ফের সালোঁ বন্ধ হয়ে গেলে ট্রিম করতে পারলেন না, তা হলে খুবই ঝামেলায় পড়বেন। চুল এলোমেলো থাকলে যতই ভাল ভাবে কাটুন, পরদায় আপনাকে দেখে তেমন ভাল দেখাবে না।