পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, বিটা ক্যারোটিন, লাইকোপিন এবং ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ তরমুজ শরীরে বিভিন্ন খনিজের ঘাটতি মেটাতেও সাহায্য করে। ছবি- সংগৃহীত
গরমকাল পড়তে না পড়তেই বাজার ছেয়ে গিয়েছে তরমুজে। অন্যান্য ফলের পাশাপাশি এই সময়ে তরমুজের চাহিদা বেশি থাকে। কারণ, তরমুজে জলের পরিমাণ প্রায় ৯২ শতাংশ। এই ফলে ক্যালোরির পরিমাণ অত্যন্ত কম। এ ছাড়াও ভিটামিন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, বিটা ক্যারোটিন, লাইকোপিন এবং ক্যারোটিনয়েড সমৃদ্ধ তরমুজ শরীরে বিভিন্ন খনিজের ঘাটতি মেটাতেও সাহায্য করে। কিন্তু মুশকিল হল, তরমুজ লাল এবং মিষ্টি না হলে কেউ তা খেতে পছন্দ করেন না। কেটে পরখ করে যে দেখবেন, তারও উপায় নেই। কারণ, গোটা তরমুজের গা থেকে একফালি কেটে ফেললে, সে দিনই তা খেয়ে ফেলতে হবে। বেশি দিন রেখেও দেওয়া যাবে না। তা হলে উপায়?
বাজারে সাধারণত দু’ধরনের তরমুজ পাওয়া যায়। একটি কালচে সবুজ এবং অন্যটি হালকা সবুজ রঙের, গায়ে গাঢ় সবুজ ডোরাকাটা দাগ। কিন্তু কোনটি বেশি মিষ্টি এবং রংটিও বেশ মনোগ্রাহী, তা তরমুজ না কেটেও বুঝতে পারবেন মাত্র তিনটি উপায়ে।
১) গায়ে হলুদ দাগ
বাজারে গিয়ে চকচকে, কালচে সবুজ গা দেখে তরমুজ কিনলেন, কিন্তু বাড়ি গিয়ে কেটে দেখলেন ফ্যাকাশে। তাই শুধু রং দেখলে হবে না। দেখতে হবে তরমুজের গায়ে হলদেটে ছোপ রয়েছে কি না। অভিজ্ঞরা বলছেন, এই দাগ থাকলে তরমুজ তুলনামূলক ভাবে মিষ্টি হয়।
২) আওয়াজ শুনে বুঝতে হবে
তরমুজের মাথার দিকে হাত দিয়ে মেরে আওয়াজ পরখ করে দেখার চেষ্টা করুন। যে ফলের আওয়াজ তুলনামূলক ভাবে গভীর, ফাঁপা নয়— সেগুলি খেতে মিষ্টি এবং রসালো হয়।
৩) ফলের আকার
অনেকেই মনে করেন, মাঝারি মাপের লম্বাকৃতি তরমুজগুলি লাল হয়। এবং তাতে মিষ্টির পরিমাণও বেশি থাকে। তুলনায় নিরেট গোল দেখতে তরমুজগুলির স্বাদ পানসে। রং খুব একটা লালও হয় না।