লিচু খেতে ভাল লাগলেও এই ফল নাকি সকলের খাওয়া চলে না। ছবি- সংগৃহীত
গরম পড়েছে জাঁকিয়ে। আম-কাঁঠাল তো বটেই আর দু’দিন পরেই বাজার ছেয়ে যাবে লিচুতে। গরমে কষ্ট হলেও এই সব ফলের আশায় এক-দু’বার বাজারে যাওয়াই যায়। তবে লিচু খেতে ভাল লাগলেও এই ফল নাকি সকলের খাওয়া চলে না। চিকিৎসকদের মতে, এমনিতে লিচু খুবই মিষ্টি ফল তাই ডায়াবিটিস রয়েছে যাঁদের, তাঁদের এই ফল এড়িয়ে চলাই ভাল। এ ছাড়াও অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদেরও এই ফল খেতে নিষেধ করা হয়। এ ছাড়াও লিচু খাওয়ার আগে আরও কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
১) খালি পেটে খাওয়া যাবে না
খেতে ভাল লাগছে মানেই সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে দু’চারটি লিচু খেয়ে ফেললেন, এমনটা করলে কিন্তু বিপদ। লিচুর মধ্যে থাকা বেশ কিছু যৌগ হজমক্ষমতা বৃদ্ধি করে। সকালে খালি পেটে তা সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে। ফলে শরীর খারাপ হয়ে যেতে পারে।
২) খালি পেটে থাকা যাবে না
খালি পেটে যেমন খাওয়া যাবে না, তেমন লিচু খেয়ে বেশি ক্ষণ খালি পেটে থাকাও যাবে না। কারণ, লিচুতে থাকা ‘এমসিপিজি’ বা ‘মিথাইলেনসাইকোপ্রপাইগ্লিসারিন’ রক্তে থাকা শর্করার মাত্রা কমিয়ে দিতে পারে।
৩) ডায়াবিটিস থাকলে নৈব নৈব চ
লিচুতে শর্করার মাত্রা বেশি। ফলে বেশি লিচু রক্তে গ্লুকোজ়ের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। ডায়াবিটিসের রোগী তো বটেই, সাধারণকেও লিচু খাওয়ার বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
৪) অন্তঃসত্ত্বা মহিলারা সাবধান
সন্তানসম্ভবা মহিলাদের রক্তে শর্করার ভারসাম্য এমনিতেই ওঠানামা করে। তার উপর যদি এই মিষ্টি ফল খান, তা হলে শর্করা যে বশে থাকবে না, তা খুবই স্বাভাবিক।
৫) না পাকলে খাওয়া যাবে না
ভাল করে না পাকলে লিচু খাওয়া যাবে না। কাঁচা লিচু খেলে হঠাৎ করেই বমি ভাব বেড়ে যেতে পারে। কারণ, এর মধ্যে থাকা হাইপোগ্লাইসিন-এ বমির প্রবণতা বৃদ্ধি করে।