Kitchen Gardening Tips

টাটকা সব্জি চান? বাড়িতেই বেড়ে উঠুক করলা গাছ, জেনে নিন বীজ থেকে চারা তৈরির পদ্ধতি

বাড়িতে গাছপালার শখ? তা হলে করলা গাছও বড় করতে পারেন। অল্প যত্নেই এই গাছ বেড়ে ওঠে। জেনে নিন পরিচর্যার উপায়।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৬ মার্চ ২০২৫ ১৭:৪১
করলা গাছের পরিচর্যা করবেন কী ভাবে?

করলা গাছের পরিচর্যা করবেন কী ভাবে? ছবি: সংগৃহীত।

নিজের হাতে গাছ বসানোর আনন্দই আলাদা। তার উপর যত্ন করে বড় করা গাছে যদি ফল বা সব্জি জন্মায়, সে এক আলাদা আনন্দ।

Advertisement

বাড়িতে টবেই বড় করুন করলা গাছ। করলার বীজ আলাদা করে সংরক্ষণ করে চারা তৈরি করতে পারেন। বীজের মানের উপর নির্ভর করে গাছ এবং ফলন। তাই সেদিকে নজর দিলে ভাল মানের বীজ কিনে আনাই ভাল।

বীজ থেকে চারা— মাটিতে বীজ ছড়িয়ে জল দিলেই সবসময় যে প্রত্যেক বীজ থেকে চারা মিলবে, তা কিন্তু নয়। বাইরের পরিবেশ, মাটির আর্দ্রতা— অনেক কিছুই এ ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

তার চেয়ে বরং একটু অন্য ভাবে কাজটি করুন। প্রথমে প্যাকেটজাত করলা বীজ জলে অন্তত দশ ঘণ্টা ভিজিয়ে রাখুন। একটি পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে নিংড়ে তাতে ভেজানো বীজ দিয়ে কাপড় মুড়ে একটি পাত্রে রেখে দিন। দিন দুয়েকের মধ্যে অঙ্কুর বের হবে। অঙ্কুরিত বীজ থেকে চারা বেরোনোর সম্ভাবনা অনেক বে়ড়ে যায়।

বীজ থেকে চারা

প্রথমেই মাটি প্রস্তত করুন। ৬০ ভাগ সাধারণ মাটির সঙ্গে ৪০ ভাগ জৈব সার মিশিয়ে নিন। দিতে পারেন চায়ের পাতাও। তবে তাতে যেন চিনি, দুধ না থাকে।

ছোট প্লাস্টিকের গ্লাসের নীচে বেশ কয়েকটি ছিদ্র করুন। এতে মাটি ভরে নিন। মাটি আলগা করে বীজ বসিয়ে দিন। বীজ চাপ দিয়ে পুঁততে হবে না। আলতো চাপে বসিয়ে দিলেই হবে। বীজের গাঢ় বাদামী অংশ, অঙ্কুর মাটির উপরে থাকা দরকার।

চারা তৈরির সময় সেগুলি চড়া রোদে রাখা যাবে না। অল্প জল দিতে হবে। এক সপ্তাহের মধ্যেই চারা বেরোবে। এ বার সেগুলি তুলে টবে বসাতে পারেন।

যত্ন: এই গাছের জন্য পর্যাপ্ত সূর্যালোক দরকার। গাছের গোড়ায় জল জমলে ক্ষতি। ফলে জল দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে, টবের জলের নিষ্কাশন পদ্ধতি ঠিক আছে কি না। এমনিতে এই গাছের জন্য বিশেষ পরিচর্যার দরকার হয় না। তবে গাছের গোড়ায় ঘাস বা আগাছা জন্মালে সেগুলি উপড়ে ফেলা দরকার। গাছ লতিয়ে বাড়ে। তাই টবে কঞ্চি বসিয়ে দিন যেটা ধরে গাছ বাড়বে। গাছ বেড়ে ওঠার সময় উপযুক্ত সার প্রয়োজন। গোবর সার বা পাতা পচা সার দিতে পারেন। পটাশ, হাড়ের গুঁড়ো প্রয়োজনমতো ব্যবহার করা যায়।

Advertisement
আরও পড়ুন