Household Items Longevity

ছিঁড়ছে না, ভাঙছেও না! তাই বলে দিনের পর দিন গেরস্থালির জিনিস ব্যবহার করে যাওয়া কি ভাল?

কম দামি ননস্টিক বাসনের বদলে বেশি দাম দিয়ে সেই একই রকম জিনিস কেনেন। অনেকে আবার সেই সব জিনিস জীবাণুমুক্ত করার জন্য ফুটন্ত গরম জলে ডুবিয়েও রাখেন। তাতেও নাকি সে সব জিনিস জীবাণুমুক্ত করা যায় না!

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৯:১৭
Image of daily

কোন জিনিসগুলো বদলে ফেলা জরুরি? ছবি: সংগৃহীত।

সস্তার জিনিস টেকসই হয় না। তাই দাম দিয়ে এমন জিনিস কিনেছেন, যা সহজে নষ্ট হওয়ার নয়। সাধারণ প্লাস্টিকের কৌটো, বোতলের বা চপার বোর্ডের বদলে নামী কোনও সংস্থার জিনিস কেনেন। কম দামি ননস্টিক বাসনের বদলে বেশি দাম দিয়ে সেই একই রকম জিনিস কেনেন। অনেকে আবার সেই সব জিনিস জীবাণুমুক্ত করার জন্য ফুটন্ত গরম জলে ডুবিয়েও রাখেন। দাম দিয়ে কেনা জিনিস তো আর ফেলে দেওয়া যায় না! তা ছাড়া শুধু তো শখ নয়, শরীরের কথা ভেবেই তো এত অর্থ ব্যয় করেন। কিন্তু অভিজ্ঞরা বলছেন, দাম দিয়ে জিনিস কিনেও নিশ্চিন্ত হওয়ার কোনও কারণ নেই। নির্দিষ্ট সময় অন্তর সে সব বদলে ফেলতে না পারলে বিপদ বাড়বে বই কমবে না।

Advertisement

গেরস্তালির কোন জিনিসের মেয়াদ কত দিন?

১) প্লাস্টিকের কৌটো:

দীর্ঘ দিন ধরে ব্যবহার করতে করতে প্লাস্টিকের কৌটোর গায়ে ফাটল ধরে। হয়তো সব সময়ে তা চোখে দেখা যায় না। সেই সব ফাটলের মধ্যে ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে। তাই দু-তিন বছর অন্তর প্লাস্টিকের কৌটো পাল্টে ফেলুন। না হলে কাচের শিশি ব্যবহার করতে পারেন।

২) বাসন মাজার স্পঞ্জ:

বাসন ধোয়ার পর স্পঞ্জটি ভাল করে না পরিষ্কার করলে বা রোদে শুকিয়ে নিলে তার মধ্যে ব্যাক্টেরিয়া জন্মাতেই পারে। তাই প্রতি দু’সপ্তাহ অন্তর সেই স্পঞ্জ বদলে ফেলাই ভাল।

৩) চপিং বোর্ড:

মাছ, মাংস, সব্জি, পনির— যাই কাটুন না কেন, চপিং বোর্ডের খাঁজে খাঁজে তা ঢুকে থাকতেই পারে। গরম জলে সাবান দিয়ে ধোয়ার পরেও তা যদি পরিষ্কার না হয়, সেখানে ব্যাক্টেরিয়া বাসা বাঁধে। তাই দীর্ঘ দিন ধরে একই বোর্ড ব্যবহার না করে দু’বছর অন্তর তা বদলে ফেলুন।

আরও পড়ুন
Advertisement