child

Parenting Tips: সন্তান কি সহজে বাকিদের সঙ্গে মিশতে পারছে না? কী ভাবে সামলাবেন এমন পরিস্থিতি

লাজুক বাচ্চাদের বাবা-মা হিসেবে কী করণীয়, জেনে নিন।

Advertisement
নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ নভেম্বর ২০২১ ১৮:৫৫
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

টুপুরের স্কুল থেকে ঘন ঘম ডেকে পাঠানো হয় তার বাবা-মাকে। টুপুর কিছুতেই ক্লাসের বাকিদের সঙ্গে মিশতে পারছে না। ফলে তাকে অন্যরাও কোনও রকম গ্রুপ প্রজেক্টে নিতে চায় না। খেলার ক্লাসেও সে বাকিদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন কোনও খেলা শিখতে চায় না। এ ভাবে অনেকটাই পিছিয়ে পড়ছে টুপুর।

বিকেলবেলা তুহিনের বন্ধুরা সকলে স্কুল থেকে বাড়ি ফিরেই খেলতে দৌড়ায়। কিন্তু তুহিনের মোটেই এ সব পছন্দ নয়। বরং সে বাড়ির চিলেকোঠার ঘরে বসে এই সময়টা গল্পের বই পড়তে ভালবাসে। রবিবাগুলোয়ওতার আঁকার ক্লাসে যাওয়া নিয়ে বেজায় অনীহা। অত বাচ্চা, অত কোলাহল যে তার পছন্দ নয়। বরং বাড়ি বসে নিজের মনে রং-পেন্সিল নিয়ে আঁকিবুকি কাটতে সে অনেক বেশি স্বচ্ছন্দ।

‘তারে জমিন পর’এর দর্শিল বাকি বাচ্চাদের তুলনায় অনেকটাই আলাদা ছিল। তার তোয়াক্কা করেননি আমির খান। বরং দর্শিলের লুকনো প্রতিভা খুঁজে বার করেছিলেন তিনি। কিন্তু বাস্তবে এই রকম সমস্যা থাকলে বাবা মায়েদেরও এই নিয়ে দুশ্চিন্তার অন্ত থাকে না। বাকি বাচ্চাদের তুলনায় তাঁদের সন্তান সব বিষয়ে পিছিয়ে পড়ছেন, এই ভয়ে তাড়া করে বেড়ায় তাঁদের। যে কারণে একটু বেশি বকাঝকাও করে ফেলেন তাঁরা। তাতে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই উল্টো ফল হয়। লাজুক বাচ্চাদের বাবা-মা হিসেবে কী করণীয়, জেনে নিন।

Advertisement

কোনও ছকে বেঁধে দেবেন না

আমার সন্তান খুব লাজুক— এই কথাটা ওর সামনে বারবার বলবেন না। তাহলে ছোটরাও সেটা বিশ্বাস করে হীনমন্যতায় ভুগবে। অন্য কেউও যদি সেটা করেন, আপনি বাধা দেবেন। কেউ যদি বলে, ‘আসলে ছেলেটা খুব লাজুক’, আপনি শুধরে দিয়ে বলবেন, ‘না লাজুক নয়, আজ কম কথা বলছে’।

ওকে রক্ষা করার দায়িত্ব নেবেন না

কোথাও গেলে কেউ কিছু জিজ্ঞেস করলে সন্তানকে উত্তর দেওয়ার সময় দিন। যারা একটু লাজুক প্রকৃতির হয়, তারা নতুন লোকেদের কথার উত্তর চট করে দিতে পারে না। কিন্তু আপনি অপেক্ষা করে দেখুন, আপনার সন্তান কিছু বলছে কি না। যদি দেখেন ওর খুবই সমস্যা হচ্ছে, তাহলে বাড়িতে অবসর সময় নতুন মানুষদের সঙ্গে পরিচয় হলে যে ধরনের কথোপকথন হতে পারে, তা বাচ্চার সঙ্গে বলুন। খেলার ছলে প্র্যাকটিস করান।

ওর প্রকৃতি মেনে নিন

সব বাচ্চারা সমান হয় না। সকলের বেড়ে ওঠাও এক রকম হবে না। কিন্তু সেটা কোনও খামতি নয়, এটা বিশ্বাস করুন। কেউ লাজুক মানেই জীবনের সব ক্ষেত্রে পিছিয়ে পড়বে এমন নয়। বরং যা আপনার সন্তান করতে ভালবাসে সেদিকে নজর দিন। ওকে উৎসাহ দিন সব রকম কাজেই। নিজের জগতে থাকতে দিন। এতে তাঁদের কল্পনাশক্তি বাড়বে।

অনুষ্ঠানবাড়িতে একটু আগে পৌঁছোন

নতুন পরিবেশে মানিয়ে নিতে আপনার সন্তানের সমস্যা হলে নতুন কোনও জায়াগায় যাওয়ার আগে তাকে সেই সম্পর্ক গল্প বলুন। কোনও পার্টিতে যাওয়ার হলে, যাওয়ার আগে সন্তানকে বলুন কাদের বাড়ি যাচ্ছেন, কারা আসবেন, কী হবে, কখন ফিরবেন— এগুলি আগে থেকে সন্তানের সঙ্গে আলোচনা করে নিন। অনুষ্ঠান শুরু সামান্য আগে পৌঁছে যান। যাতে সে একটু সময় পায় মানিয়ে নেও

Advertisement
আরও পড়ুন