ঘরের রং হোক বাসিন্দার পছন্দের রঙে
বয়ঃসন্ধির সময়ে আপনার সন্তানের জীবনে ঘটে অনেক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। শারীরিক নানা বিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গেই পছন্দ-অপছন্দের ধরণ বদলে যায় দ্রুত। পোশাক-পরিচ্ছদের ধরণও এই সময়ে বেশ কিছুটা অন্য রকম হয়ে যায়। চিকিৎসকদের একাংশের দাবি যে, বয়ঃসন্ধিতে খাদ্যাভ্যাসেও দেখা যায় রুচির বদল। মনে রাখবেন আস্তে আস্তে এই সময় থেকেই বাইরের পৃথিবীর সঙ্গে খাপ খাওয়াতে খাওয়াতে তাকে নিজের ভাল লাগা, মন্দ লাগা নিয়ে সচেতন হতে হচ্ছে। তা ছাড়া এই অতিমারির আবহে ঘরে থাকতে থাকতে নিয়মিত তাকে যুঝতে হচ্ছে কিছু অবসাদের সঙ্গেও। কেমন হয় যদি বেড়ে উঠতে থাকা আপনার সন্তানের ঘরটির সাজসজ্জা এই সময়ে তার পছন্দমতই একটু অন্য রকম করে ফেলা যায়? পারিপার্শ্বিকতায় যদি থাকে পছন্দসই ইতিবাচক প্রভাব, তবে মনও থাকবে ভাল।
১। ঘরের রং হোক বাসিন্দার পছন্দের রঙে। বিশেষ করে নীল। হলুদ, সবুজ, গোলাপির মতো উজ্জ্বল রঙের কোনও ঘরে থাকলে সৃজনশীলতায় থাকবে রুচি।
২। বিছানায় রাখতে পারেন রংবেরংয়ের কুশন। বালিশের ঢাকনাও হোক মনের মতো।
৩। ঘরে ফাঁকা জায়গা রাখুন বেশি। বই , জামাকাপড় বা অন্যান্য দরকারি জিনিসপত্র নির্দিষ্ট তাকে থাকলে খুঁজে পেতেও হবে সুবিধা।
৪। ওয়ালপেপারে থাকুক জ্যামিতির প্রিন্ট। কিংবা কোনও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ছবিও হতে পারে মনোগ্রাহী ।
৫। ঘরে রাখতে পারেন একটি বা দুটি গাছ। ঘরে তা আনবে স্নিগ্ধতার ছোঁয়া। স্বাস্থ্যের পক্ষেও তা ভীষণই উপকারী।
৬। ঘরে জায়গা থাকলে রাখতে পারেন দোলনাও। তা আপনার সন্তানকে দিতে পারে পড়াশোনা বা অন্যান্য জরুরি কাজের মাঝে এক টুকরো অবকাশ।