বিছানা ঠান্ডা হবে এসি ছাড়াই। ছবি: সংগৃহীত।
রোদের তাপে তেতে উঠছে বাড়িঘর। দুপুরের দিকে সূর্য যখন মধ্যগগনে, তখন বাড়িতে থাকাই দায় হয়ে উঠছে। অগত্যা ভরসা ফ্যান আর বাতানুকূল যন্ত্র। কিন্তু যন্ত্র যে কোনও সময় খারাপ হতে পারে। আবার লোডশেডিং হওয়ার সম্ভাবনাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
প্রচণ্ড গরমের দিনগুলিতে ঘুমোতে গিয়ে দেখা যায়, আশপাশের চেয়ে বিছানাটা বেশি গরম হয়ে আছে। শরীর এলিয়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘেমে একশেষ আপনি। এর কারণ হল, দিনভর রোদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ তাপ বিছানার তোশক বা ম্যাট্রেস, শোষণ করে নেয়। সূর্যাস্তের পরেও বেশ কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত সেই তাপ বিছানায় থেকে যায়। সাধারণত তুলো বা ফোম জাতীয় যে সব উপাদান দিয়ে তোশক তৈরি হয়, সেগুলি খুব সহজে তাপ কমাতে পারে না। এসব দ্রুত ঠান্ডা করার জন্য তাই বিশেষ পদ্ধতির সাহায্য নিতে হয়। জেনে নিন, গরমের দিনে কী ভাবে বিছানা ঠান্ডা রাখবেন?
১. কুলিং কম্বল: শরীর ও বিছানা ঠান্ডা রাখার জন্য এই পাতলা কম্বলগুলির একপাশে থাকে শীতলীকরণ অংশ, অন্য পাশে সুতির কাপড়। এই কম্বল বা চাদরগুলি ঘুমোনোর সময় শরীরের তাপমাত্রা অনেকটা কমিয়ে আনতে পারে। এসির মতো ঠান্ডা না করলেও, বিছানার অতিরিক্ত তাপ শুষে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট। সহজে পরিবহনযোগ্য এবং ওয়াশিং মেশিনেও ধোয়া যায়। ঘুমোনোর সময় যাঁরা কোনও যন্ত্র পছন্দ করেন না, তাঁদের জন্য কুলিং ব্ল্যাঙ্কেট হতে পারে প্রথম পছন্দ। অনলাইনে কুলিং ব্ল্যাঙ্কেট কিনতে পারবেন। দাম পড়বে ৩,০০০ টাকা থেকে ৫০০০ টাকার মধ্যে।
২. কুলিং ম্যাট্রেস প্যাড: এটি খুবই হালকা কাপড়ে তৈরি, বিছানা ঠান্ডা করতে ব্যবহৃত হয়। এটি সহজেই বিছানায় সেট করা যায়। দরকার মতো ওয়াশিং মেশিনেও পরিষ্কার করা যায়। রাতভর এটি আপনার শরীরের তাপমাত্রা বুঝে বিছানা শীতল করবে, এমনকি এটি ‘ময়েশ্চার উইকেনিং’ পদ্ধতিতে ঘামও শুষে নেয়। অনলাইনে ২৫০০ টাকার মধ্যেই এই ধরনের প্যাড কিনতে পারবেন।
৩. শোয়ার ঘর ঠান্ডা রাখুন: দিনের বেলা ঘরের পর্দাগুলি বন্ধ রাখুন, যাতে ঘরের মধ্যে রোদ সহজে ঢুকতে না পারে। বিছানায় তোশকের উপর শীতলপাটি পেতে রাখতে পারেন। গরমের দিনে সাদা, হলুদ, আকাশি, হালকা সবুজ রঙের সুতির চাদর বিছানায় পাতুন।