Weight Loss Tips

জিমে না গিয়েই ১৫ কেজি ওজন কমিয়েছেন মোনা সিংহ! ৫ মাসেই এমন ভোলবদলের নেপথ্যে রহস্য কী?

বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে মোনা বলেছেন, ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে গিয়ে তাঁকে বার বার ‘বডি শেমিং’-এর শিকার হতে হয়েছে। মোনার এই ভোলবদল আবারও প্রমাণ করে দিয়েছে, ইচ্ছে থাকলে সবই সম্ভব।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৬ জুন ২০২৪ ১৪:৪১
Jassi Jaisi Koi Nahi Actor Mona Singh shares her inspiring weight Loss journey

জিমে না গিয়েও কী ভাবে ফিট হলেন মোনা? ছবি: সংগৃহীত।

সম্প্রতি আবার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছেন ‘জস্‌সি জ্যায়সি কোই নহিঁ’ সিরিয়ালের অভিনেত্রী মোনা সিংহ। অভিনয়ের জন্য নয়, ছ’মাসে ১৫ কেজি ওজন ঝরিয়ে সকলের নজর কেড়েছেন অভিনেত্রী। একটি চরিত্রে অভিনয়ে করবেন বলেই এই ভোলবদল অভিনেত্রীর।

Advertisement

ইতিপূর্বে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে মোনা বলেছেন, ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করতে গিয়ে তাঁকে বার বার ‘বডি শেমিং’-এর শিকার হতে হয়েছে। মোনার এই ভোলবদল আবারও প্রমাণ করে দিয়েছে, ইচ্ছে থাকলে সবই সম্ভব। কী ভাবে ওজন ঝরালেন অভিনেত্রী? সাক্ষাৎকারে এই প্রশ্ন করা হলে মোনা বলেন, কঠোর নিয়মানুবর্তিতা ও অনুশাসনই তাঁর এই ওজন ঝরানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে। মোনা জানিয়েছেন, তাঁর ওজন ঝরানোর মূল মন্ত্র কী।

যোগাসন: জিমের ভরসায় থাকেননি মোনা। ওজন কমাতে যোগাসনের উপরেই আস্থা রেখেছিলেন অভিনেত্রী। এর পাশাপাশি রোজ নিয়ম করে তিনি প্রাণায়াম ও ধ্যানও করতেন। সুঠাম, মেদহীন শরীরের গঠন সকলেই চান। খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম, কায়িক শ্রম কম করা, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাব— বিভিন্ন কারণে শরীরের আনাচকানাচে জমতে থাকে মেদ। ঠিক সময়ে পদক্ষেপ না করলে ভুঁড়ি কিংবা ওজন বৃদ্ধির মতো সমস্যা দীর্ঘস্থায়ী হতেও সময় লাগে না। তবে ইচ্ছে থাকলেই উপায় বেরোয়। জিমে না গিয়ে, মুঠো মুঠো বাজারচলতি ক্ষতিকর সাপ্লিমেন্ট না খেয়েও পেটের মেদ ঝরাতে চাইলে নিয়মিত কয়েকটি যোগাসন করলেই হতে পারে সমস্যার সমাধান। এ ক্ষেত্রে বীরভদ্রাসন, ত্রিকোণাসন, অধোমুখ শবাসন, সর্বাঙ্গাসন, নৌকাসন, পালকাসন নিয়মিত অভ্যাস করতে পারেন আপনিও।

ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং: যোগাসনের পাশাপাশি ডায়েটের দিকেও কড়া নজর রেখেছিলেন মোনা। পুষ্টিবিদের পরামর্শ মেনে তিনি ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ ডায়েট শুরু করেন মাস পাঁচেক আগে। ইদানীং অনেক তারকাই ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ ডায়েটের কথা বলেন। এই ডায়েটে খাবার নিয়ে তেমন কড়া বিধিনিষেধ থাকে না। তবুও এই ডায়েট করে ওজন ঝরানো সম্ভব। তাই এই ডায়েটের জনপ্রিয়তা দিন দিন বাড়ছে। এই ডায়েটে ছয় থেকে আট ঘণ্টার মধ্যেই সারা দিনের খাবার খেয়ে ফেলতে হয়। আর বাকি সময়টা অর্থাৎ, ১৪ থেকে ১৬ ঘণ্টা উপোস করে কাটাতে হয়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, সঠিক নিয়ম মেনে ‘ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং’ করলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, কোলেস্টেরল হ্রাস পায় এবং শরীরও চাঙ্গা থাকে। নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে নির্দিষ্ট পরিমাণ খাবার খেলে বিপাকহারও নিয়ন্ত্রণে থাকে। এতে ক্যালোরিও কম যায় শরীরে। এই ডায়েটের ফলে মেদ ঝরে দ্রুত।

দ্রুত ওজন কমানোর জন্য কোনও সহজ পন্থা বেছে নেননি মোনা। হাতে অনেকটা সময় রেখে অল্প অল্প করে ওজন ঝরিয়েছেন তিনি। রোজের ডায়েটে তিনি মূলত প্রোটিন আর ফাইবারকেই গুরুত্ব দিয়েছেন। এই সব খাবার শরীর চাঙ্গা রাখতে যেমন সাহায্য করে, তেমনই দ্রুত ওজন ঝরাতেও যথেষ্ট ভূমিকা রাখে। এই সব খাবার খেলে অনেক ক্ষণ পেট ভরা থাকে, ফলে ভাজাভুজি কিংবা মুখোরোচক খাবার খাওয়ার ইচ্ছেও কমে যায়।

আরও পড়ুন
Advertisement