ট্যাটু করাবেন অথচ ব্যথা লাগবে না, কী ভাবে সম্ভব? ছবি: সংগৃহীত।
বাসে, ট্রেনে কিংবা মেট্রোয় উঠলে, রাস্তায় বেরোলে দশ জনের মধ্যে এখন চার জনেরই শরীরের এ দিকে-ও দিকে ট্যাটু দেখতে পাওয়া যায়। তরুণ প্রজন্মের কাছে ট্যাটু এখন ‘স্টাইল স্টেটমেন্ট’। কেউ প্রেমিক-প্রেমিকার নামে ট্যাটু করাচ্ছেন, কেউ আবার গোটা শরীরটাকেই ক্যানভাসে পরিণত করছেন। দিন দিন বেড়ে চলেছে ট্যাটুর জনপ্রিয়তা।
ট্যাটু করানোর কথা ভাবছেন? তবে ব্যথার ভয়ে ট্যাটু পার্লারের বাইরে থেকেও ফিরে আসছেন বার বার? শরীরের নির্দিষ্ট কিছু অঙ্গ আছে, যেখানে ট্যাটু করালে ব্যথা কম লাগে। সে কথা জানেন কি? প্রথম বার সাহস করে না হয় সেই জায়গাগুলিতেই ট্যাটু করালেন। সাধারণত ঊরু, হাত, পিঠ, কাঁধ, বাইসেপে ট্যাটু করানো তুলনায় কম ব্যথার। অন্যান্য অংশের তুলনায় ব্যথা কম লাগে এই পেশিযুক্ত জায়গাগুলিতে।
তার মানে কি অন্য কোনও অঙ্গে আর ট্যাটু করানোর ঝুঁকি নেবেন না? তা-ও কিন্তু নয়। এমন কিছু টোটকা আছে, যা ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। ট্যাটু করানোর আগে জেনে নিন সেগুলি কী কী।
১) কোথা থেকে ট্যাটু করাচ্ছেন, সেটাও কিন্তু ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। অভিজ্ঞ ট্যাটু শিল্পীদের কাছ থেকে ট্যাটু করানোই শ্রেয়। কম টাকা লাগবে ভেবে অনামী কোনও জায়গায় না যাওয়াই ভাল। সংক্রমণের ঝুঁকির পাশাপাশি সেখান থেকে ট্যাটু করালে যন্ত্রণাও বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
২) ট্যাটু করাতে যাওয়ার আগের রাতে ঘুম যেন সম্পূর্ণ হয়। ক্লান্ত শরীরে ট্যাটু করাবেন না, যন্ত্রণা বেশি হবে।
৩) ট্যাটু করতে যাওয়ার ২৪ ঘণ্টা আগে বেদনানাশক ওষুধ এড়িয়ে চলুন। অ্যাসপিরিন জাতীয় ওষুধ রক্ত পাতলা করে দেয়, ফলে ট্যাটু করালে ব্যথা বেশি লাগতে পারে, এমনকি সুচের অল্প চাপে রক্তক্ষরণও হতে পারে।
৪) ট্যাটু করতে যাওয়ার আগে বেশি করে জল খান। ত্বক তা হলে আর্দ্র থাকবে। তাতে ব্যথা কম হবে। তবে আগের দিন ভুলেও মদ্যপান করবেন না।
৫) ট্যাটু করার সময়ে গান শুনতে পারেন কিংবা কারও সঙ্গে কথা বলতে পারেন। মুগ্ধতা বা অন্যমনস্কতার ফলে ব্যথা কম লাগবে।