বাড়িরই একাংশ বই পড়া ও গুছিয়ে রাখার জন্য ব্যবহার করতে পারেন। ছবি: ফ্রি পিক।
বই পড়তে ভালবাসেন? কিন্তু আলাদা কোনও পড়ার ঘর নেই। বেশ কিছু বই জমা হয়ে গেলেও তা পড়ার জন্য কোনও আলাদা জায়গা নেই? চাইলে কিন্তু ছোট ফ্ল্যাট হোক বা বাড়ি, একফালি জায়গা বইয়ের জন্যই রাখতে পারেন। তবে সেখানে শুধু বই সাজানো থাকবে না। বই পড়ার ব্যবস্থাও থাকবে। কী ভাবে সাজিয়ে তুলবেন সেই জায়গা?
১. খুঁজলে প্রতি বাড়িতেই একফালি জায়গা পাওয়া যেতে পারে, যেখানে একটু ভাবনাচিন্তা করলে বইয়ের স্থান সঙ্কুলান হতেই পারে। অনেকে আবার বসার ঘরেও বই সাজিয়ে রাখেন। অনেকে দেওয়ালে নানা রকম সুদৃশ্য জিনিস সাজালেও, বই সাজানোর কথা ভাবেন না। চাইলে বসার ঘরের একফালি অংশে তাক রেখেও বই সাজানো যায়। আবার একটি দেওয়াল জুড়ে বই রাখার আলমারি বানিয়ে নিতে পারেন। প্রতিটি তাকের উচ্চতা ১ ফুট হলেই যথেষ্ট। মোটামুটি ৮ থেকে ১০ ইঞ্চি আড়াআড়ি তাকের দৈর্ঘ্য হলেই বই রাখা যাবে।
২. আবার যে ঘরে আগে থেকেই বই রাখার ব্যবস্থা রয়েছে, সেই জায়গাও একটু অন্য ভাবে সাজিয়ে নিতে পারেন। ঘরে বক্স জানলা থাকলে সেই জায়গা গদি পেতেও বই পড়ার ছোট্ট জায়গা হতে পারে। আবার নতুন ফ্ল্যাট বা বাড়ি করলে, বসে বই পড়ার জন্য বেশ চওড়া জায়গা একটা জানলার সঙ্গেই তৈরি করিয়ে নিতে পারেন। জানলায় কাচ দিয়ে রাখলেও সেখানে বসে বই পড়তে ভাল লাগবে।
৩. বাড়িতে যদি বেশ বড় ডাইনিং হল বা অনেকটা খোলা জায়গা থাকে, সেখানকার একটি দেওয়ালে বই রেখে তার পাশেই বসে বই পড়ার জন্য বিন ব্যাগ রাখতে পারেন। বেশ কিছুটা সবুজের ছোঁয়া, রকমারি মূর্তি ও ফুলদানি দিয়ে আশপাশটা সাজিয়ে নিতে পারেন। চাইলে বিন ব্যাগের বদলে, মেঝেতেও বিছানা করে রাখতে পারেন।
৪. একটু পুরনো দিনের বাড়িতে সিঁড়ির ল্যান্ডিং আকারে বেশ বড় হত। বাড়িতে এ রকম জায়গা থাকলে সেই অংশটিও বই রাখার জন্য ব্যবহার করতে পারেন।
৫. বাড়িতে খুদে সদস্য থাকলে, তাকে বইয়ের প্রতি আগ্রহী করে তুলতে রঙিন মলাট ও ছবির বই যেমন রাখতে পারেন, তেমনই পড়ার জায়গাটি তার উপযোগী করে সাজিয়ে তুলতে পারলে ভাল হয়। খুদের থাকার ঘরের একাংশও এ ভাবে বই পড়ার জন্য তৈরি করে দিতে পারেন। বিন ব্যাগ, খুদের পছন্দসই চেয়ার-টেবিল রাখলেও শিশু সেখানে বসতে ও বই পড়তে আগ্রহী হবে।