বোতলেই ফলাতে পারেন রকমারি সব্জি। ছবি: সংগৃহীত।
প্লাস্টিকের বোতলে রংবেরঙের ফুল ফুটে রয়েছে, বেড়ে উঠছে সাকুলেন্ট বা বাহারি গাছ, এমন দৃশ্য উত্তরবঙ্গের পাহাড়ি গ্রামগুলিতে গেলে দেখা যায়। পরিবেশের পক্ষে ক্ষতিকর প্লাস্টিকের বোতল টব হিসাবে ব্যবহার করে ফুল ফোটানো, সবুজায়নের এই প্রয়াস নিঃসন্দেহে প্রশংসাযোগ্য।
চাইলে এমন উদ্যোগের শরিক আপনি হতে পারেন সমতলের শহরে বসেও। শুধু ফুল নয়, রকমারি সব্জিও ফলানো যায় প্লাস্টিকের বোতলে। লখনউয়ের এক উদ্যানপালক চৌধরি রামকরণ তাঁদের বাড়ির ছাদে শুধু উল্লম্ব বাগানই করেননি, বোতলে চাষ করেছেন টম্যাটো, বেগুন, ক্যাপসিকাম, কাঁচালঙ্কাও। তাঁর কথায়, বাড়িতে বাগান করার জায়গার অভাব থাকলে উল্লম্ব বাগান এবং বোতলের ব্যবহার ভীষণ সুবিধাজনক।
কী ভাবে বোতলে চাষ করবেন?
১. এ জন্য ঠান্ডা পানীয়ের ২-৩ লিটারের বোতল আদর্শ, বলছেন উদ্যানপালক। বোতলের ছিপির দিকটি নীচে রেখে, উপরের অংশ ছুরি দিয়ে কেটে নিতে হবে। ছিপিতে ২-৩টি ফুটো রাখতে হবে, যাতে জল সেখান দিয়ে বেরিয়ে যায়।
২. বোতলের দু’পাশে ছিদ্র করে তাতে দড়ি পরিয়ে নিতে হবে, যাতে বোতল ঝোলানো যায়।
৩. এ বার দিতে হবে মাটি। কোকোপিট, মাটি এবং জৈব সারের মিশেলে মাটি তৈরি করুন। টম্যাটো, কাঁচালঙ্কা, ক্যাপসিকামের মতো সব্জিতে দো-আঁশ মাটি ব্যবহার করতে পারেন।
৪. চারা পুঁতে নেওয়ার পর প্রথম দিকে ছায়ায় রাখতে হবে, যেখানে সরাসরি সূর্যালোক পড়বে না কিন্তু তাপ থাকবে। গাছ বাড়লে অন্তত ছ’ঘণ্টা রোদ পড়ে এমন জায়গায় বোতলগুলি ঝুলিয়ে রাখা দরকার।
৫. জল দিলেও তা যেন মাটিতে বা গাছের গোড়ায় না জমে, খেয়াল রাখা দরকার। মাটিতে জল জমলে গাছ পচে যেতে পারে।
৬. গাছ বেড়ে ওঠার সময় কলার খোসা, আলুর খোসা দিয়ে জৈব তরল সার প্রয়োগ করলে ভাল ফলন হবে।
৭. গাছে কোনও পোকামাকড়ের উৎপাত হচ্ছে কি না দেখা দরকার। সেই মতো ব্যবস্থাও নিতে হবে।