মাদিহ তালাল। —ফাইল চিত্র।
আগের ম্যাচে পিছিয়ে থেকে পঞ্জাবের বিরুদ্ধে জিতে সমর্থকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু তার পরেই খারাপ খবর তাঁদের জন্য। মরসুমের মাঝপথে বড় ধাক্কা খেল ইস্টবেঙ্গল। হাঁটুর চোটের কারণে চলতি আইএসএল থেকে ছিটকে গেলেন তিনি। ফলে মাঝমাঠের এই ভরসাকে এই আইএসএলে আর পাবে না লাল-হলুদ।
ইস্টবেঙ্গল একটি বিবৃতি দিয়ে এই কথা জানিয়েছে। সেখানে জানানো হয়েছে, ওড়িশার বিরুদ্ধে ম্যাচে হাঁটুতে যে চোট তালালের লেগেছিল তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। চিকিৎসকদের রিপোর্টের পর পরিষ্কার, চলতি মরসুমে আর খেলতে পারবেন না তিনি। তালালের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছে ক্লাব।
ওড়িশার বিরুদ্ধে চোট পাওয়ার পর বাঁ পায়ে ‘নি ব্রেস’ পরে রিজ়ার্ভ বেঞ্চে বসেছিলেন তালাল। পরে ওড়িশার দুই ফুটবলারের কাঁধে ভর করে সাজঘরে পৌঁছন। মাঠ থেকে বেরিয়ে গাড়িতে ওঠেন হুইলচেয়ারে করে। পরের দিন তাঁর এমআরআই রিপোর্টে দেখা গিয়েছে, অ্যান্টেরিয়র ক্রুশিয়েট লিগামেন্টে (এসিএল) চোট রয়েছে। যে কোনও ফুটবলারের কাছেই এই চোট বড় ধাক্কা। দীর্ঘ দিনের জন্য ছিটকে যেতে হয়। তালালের ক্ষেত্রেও বিষয়টি তাই। তাঁর চোট সারতে ৬-৯ মাস লাগতে পারে।
ইস্টবেঙ্গল তাই তালালকে ‘আনরেজিস্টার’ করিয়ে নতুন ফুটবলারকে সই করাতে পারে। পরিবর্ত হিসাবে সবার আগে রয়েছেন জনি কাউকো। মোহনবাগানকে গত মরসুমে লিগ-শিল্ড জেতাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। ইউরোয় খেলা ফুটবলারকে তবু রাখেনি দল। এখন কাউকো খেলেন আই লিগের দল ইন্টার কাশীতে। ইস্টবেঙ্গল তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর।
তবে কোনও কিছুই চূড়ান্ত নয়। মূল সমস্যা সেই অর্থই। কারণ দল প্রায় তৈরি হয়ে যাওয়ার পর মাঝে নতুন ফুটবলার নেওয়া মানেই বাড়তি খরচ। তবে আই লিগ ছেড়ে আইএসএলে ফিরতে পারলে কাউকো যে খুশি হবেন তা নিয়ে সন্দেহ নেই। সমস্যা রয়েছে, কী ভাবে কাশীর সঙ্গে চুক্তি ভেঙে তিনি বেরোবেন তা নিয়ে। সব ঠিক থাকলে জানুয়ারির ট্রান্সফার উইন্ডোতেই কাউকোকে নেওয়া হতে পারে।