Calcutta High Court

এসএসসি-কাণ্ডে কেন কল্যাণময়ের জামিনের বিরোধিতা? ইডিকে হলফনামা দিয়ে জানাতে বলল হাই কোর্ট

২০১২ সালে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অ্যাডহক কমিটির প্রশাসক হন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। সব মিলিয়ে চার বছর, অর্থাৎ ২০১৬ পর্যন্ত সেই পদে ছিলেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১০ এপ্রিল ২০২৫ ১৬:২৮
কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়।

কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। — ফাইল চিত্র।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের জামিনের মামলায় ইডির বক্তব্য জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কল্যাণময়কে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। বৃহস্পতিবার বিচারপতি শুভ্রা ঘোষের নির্দেশ, কেন কল্যাণময়ের জামিনের বিরোধিতা করা হচ্ছে, তা ইডিকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে। আগামী ২১ এপ্রিল এই মামলার পরবর্তী শুনানি।

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি হারিয়েছেন রাজ্য সরকার পোষিত এবং সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী। তাঁরা সকলেই ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়েছিলেন। দুর্নীতির অভিযোগে আদালতের নির্দেশে ওই বছরের প্যানেল বাতিল করা হয়। সেই সময় মধ্যশিক্ষা পর্ষদে দায়িত্বে ছিলেন কল্যাণময়। ২০১২ সালে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অ্যাডহক কমিটির প্রশাসক হন তিনি। সব মিলিয়ে চার বছর, অর্থাৎ ২০১৬ পর্যন্ত সেই পদে ছিলেন তিনি। সেই বছরেই তাঁকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি করা হয়। ২০২২ সালের ২২ জুন তাঁর মেয়াদ শেষ হয় ওই পদে। কল্যাণময়ের আমলে স্কুলে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তাতে জড়িত থাকার অভিযোগেই সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হন কল্যাণময়।

পাশাপাশি, সিবিআই আদালতে দাবি করেছিল, কল্যাণময় ‘বেআইনি ভাবে’ পদ আঁকড়ে ছিলেন। তিনি পর্ষদের সভাপতি থাকাকালীন ওই পদের মেয়াদ দু’বার বৃদ্ধি করা হয়। প্রথমে ওই পদে থাকার বয়ঃসীমা ৬০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫ করেছিল স্কুল শিক্ষা দফতর। তার পর ৬৫ থেকে বাড়িয়ে ৬৮ করা হয়। কল্যাণময় অবশ্য ৬৮ পেরিয়েও আরও ১৬ মাস সবেতন সামলেছেন পর্ষদের দায়িত্ব। অভিযোগ, অতিরিক্ত বেতন নিয়েছেন ৩২ লক্ষ টাকা। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের তৈরি করে দেওয়া উপদেষ্টা কমিটিরও অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। পরে কল্যাণময়কে গ্রেফতার করে ইডিও।

ইডির মামলাতেই জামিন চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন কল্যাণময়। তাঁকে জামিন দেওয়ার বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কেন তারা সেই বিরোধিতা করছে, তা এ বার হলফনামা দিয়ে জানাতে বলেছে হাই কোর্ট।

Advertisement
আরও পড়ুন