এ ভাবেও সাজিয়ে তোলা যায় ঘরের আনাচকানাচ। ছবি: সংগৃহীত।
ছোটবেলা থেকেই আঁকার শখ? সেলাইয়েও বেশ পটু? বিয়ের পর সংসারের চাপে এমন বেশ কিছু গুণ চাপা পড়ে যায় অনেক মহিলারই। সারা দিনে কিছুটা সময় বার করে ভাল লাগার সেই কাজগুলি নতুন ভাবে শুরু করতে পারেন। এতে মনও ভাল হবে, আবার হাতের গুণে সাজিয়ে তুলতে পারবেন ঘরের আনাচকানাচ।
কুশনের ঢাকনা: বসার ঘরের কুশনের ঢাকনাগুলিতে হাতের কাজের ছোঁয়া রাখতে পারেন। আঁকতে ভালবাসেন? প্রথমেই কুশনের মাপের একরঙা ঢাকনা করিয়ে নিন বা কিনে নিন। সাদা, ঘিয়া রঙের উপর যে কোনও আঁকা ভাল ফুটবে। তবে স্বাদ বদলে কালো বা অন্য গাঢ় রং বেছে নিতে পারেন। ঢাকনাটিকে ক্যানভাস ভেবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন পাখি, ফুল-সহ পছন্দের যে কোনও ছবি। আবার আঁকার মধ্যে মিশিয়ে দিতে পারেন সেলাই। অ্যাপ্লিক থেকে কাঁথা স্টিচ, পছন্দের যে কোনও সেলাই বেছে নিতে পারেন। আবার বিভিন্ন উল দিয়ে বা লেস দিয়ে ঝালরও লাগিয়ে দিতে পারেন।
দেওয়াল: আঁকায় পটু হলে দেওয়ালের সজ্জাতেও মন দিতে পারেন। প্রথম শুরু করলে ছোট কোনও জায়গা বেছে নিতে পারেন। সুইচ বোর্ডের আশপাশে ‘কংফু পান্ডা’ বা পছন্দের কোনও কার্টুন চরিত্র আঁকলে দেখতে বেশ ভাল লাগবে। প্রথম পরিকল্পনা সফল হলে বড় দেওয়ালে অন্য রকম আঁকা নিয়ে ভাবতে পারেন। তবে যে কোনও কাজ শুরুর আগে ছবিটি কেমন হবে, কতটা জায়গা জুড়ে থাকবে, সেই দেওয়ালে মানাবে কি না, ভেবে নেওয়া প্রয়োজন।
বাতিদান, পেনদানি: বাড়িতে বিভিন্ন ধরনের কাচের বোতল, শিশি থাকে। সেগুলিকেই কাজে লাগাতে পারেন। যেমন, কোনও কফির শিশি, স্টিকার তুলে সাবান দিয়ে পরিষ্কার করে নিন। তার গায়ে ‘গ্লাস পেন্টিং’-এর সরঞ্জাম ব্যবহার করে রকমারি নকশা করতে পারেন। আবার স্পঞ্জের সাহায্যে সাদা রং করে, স্টিকার আটকে দিতে পারেন। একটু লম্বাটে শিশি পেলে তাতে রং করে পছন্দের কোনও উক্তিও তুলির সাহায্যে লিখে নিতে পারেন।