এত বাদাম থাকতে রোজ ৩-৪টি আখরোটই ভিজিয়ে খাবেন কেন?

খিদে পেলে একমুঠো কাঠবাদাম কিংবা আখরোট খেয়ে নিলে কাজ হয়। মুখরোচক, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ঝোঁক কমে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:৫৮
Image of walnuts

কাঠবাদামের চেয়ে আখরোট কি বেশি উপকারী? ছবি: সংগৃহীত।

সুস্থ থাকতে প্রতি দিন একমুঠো করে বাদাম খান। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং বিভিন্ন ফ্যাটি অ্যাসিডের গুণে ভরপুর বাদাম নাকি বিভিন্ন প্রকার মারণরোগ ঠেকিয়ে রাখতেও সাহায্য করে। খিদে পেলে একমুঠো কাঠবাদাম কিংবা আখরোট খেয়ে নিলে কাজ হয়। মুখরোচক, অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার ঝোঁক কমে। তবে পুষ্টিবিদেরা বলেন, কাঠবাদামের চেয়ে আখরোট বেশি উপকারী। তবে এই বাদাম কিন্তু খেতে হবে জলে ভিজিয়ে। আগের দিন রাতে ভেজানো আখরোট নিয়মিত খেলে কী কী উপকার মেলে?

Advertisement

১) হার্টের জন্য ভাল

আখরোটের মধ্যে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। রক্তে ‘খারাপ’ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে আখরোটের জুড়ি মেলা ভার।

২) মস্তিষ্কের স্নায়ুর জন্য ভাল

বয়সজনিত সমস্যার কারণে মস্তিষ্কের স্নায়ুগুলি ক্রমশ কার্যক্ষমতা হারাতে থাকে। ফলে নিউরোডিজেনারেটিভ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। আখরোটের মধ্যে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের যুগলবন্দি মস্তিষ্কের স্নায়ুর জন্য ভাল। অ্যালঝাইমার্স, ডিমেনশিয়ার মতো রোগের সঙ্গে লড়তে হলে নিয়মিত আখরোট খেতে হবে।

৩) অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর

আখরোটের মধ্যে রয়েছে পলিফেনল-এর মতো প্রয়োজনীয় বেশ কিছু অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে এবং কোষ ধ্বংস হওয়া থেকে রক্ষা করে।

৪) রক্তে শর্করা কমায়

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে, আখরোটের মধ্যে যে পরিমাণ ফাইবার রয়েছে, তা রক্তে ইনসুলিন হরমোনের উৎপাদন এবং ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। তা ছাড়া এই বাদামে যে পরিমাণ স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে, তা কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে।

৫) অন্ত্র ভাল রাখে

কোষ্ঠকাঠিন্য, হজমের গোলমাল হলেও ভেজানো আখরোট খেতে পারেন। এই বাদাম ভিজিয়ে খেলে তা আরও বেশি করে সহজপাচ্য হয়ে ওঠে। অন্ত্রে ভাল ব্যাক্টেরিয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে আখরোট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement