‘শ্রীময়ী’ সিরিয়ালের দৃশ্য। ছবি: টুইটার
সকলেরই নিজের জীবনটা নিজের মতো বাঁচার অধিকার রয়েছে। নিজের ইচ্ছে-অনিচ্ছে প্রাধান্য দেওয়া কোনও রকম দোষের নয়। তাই শ্রীময়ী-রোহিত সেনকে দেখে যদি আপনারও মনের লুকানো ইচ্ছেটা পূরণ করার কথা মনে হয়, তবে অবশ্যই সে পথে এগনো উচিত। আত্মীয়স্বজন-পাড়া-প্রতিবেশী-সমাজের চোখ রাঙানিকে ভয় পাবেন না। ছেলে-মেয়ের আপত্তি থাকলেও তাঁদের বুঝিয়ে বলুন। অবশ্যই তাঁদের মতামত গুরুত্বপূর্ণ, তবে মনে রাখবেন, সেটা শেষ কথা নয়। সবার আগে নিজেকে বেছে নিন। তবে মাথায় রাখবেন, নিজেকে ভাল রাখতে গেলে কিন্তু কিছু কথা আপনার সঙ্গীর সঙ্গে আগেই খোলাখুলি আলোচনা করে নেওয়া প্রয়োজন। তবেই আপনারা ভাল থাকবেন এবং দ্বিতীয় বার সংসার পাতার সিদ্ধান্ত নিয়ে কোনও রকম অনুতাপ থাকবে না। কোন কোন বিষয়ে মাথায় রাখবেন, জেনে নিন।
কতটা মিল
কম বয়সে বিয়ে করলে যখন সঙ্গীর সঙ্গে কোনও রকম মতবিরোধ হয়, তখন অনেক সময়ে মনে হয়, হয়তো সঙ্গীর অভ্যাসগুলি সময়ের সঙ্গে পাল্টে যাবে। একটা আশার জায়গা থাকে। কিন্তু ৪৫ বা ৫০ বছরের পর কোনও মানুষ আর পাল্টাবে না, এমনটাই ধরে নেওয়া যায়। কিংবা তার মানিয়ে চলার ক্ষমতা বা ইচ্ছে কমে যাবে। তাই দু’জনের মনের মিল কতটা রয়েছে, তা ভাল করে দেখে নিন। একজন বেড়াতে ভালবাসেন, আরেকজন ঘরকুনো হলে এই বয়সে বেশ সমস্যা হবে। দু’জনের কোনও শখ এক রকম কিনা, তাও দেখে নেওয়া ভাল। যেমন বাগান করা বা সিনেমা দেখার মতো কিছু শখ যা একসঙ্গে উপভোগ করতে পারবেন। তবেই বাকি জীবনটা শান্তিতে কাটবে।
আমি ও আমরা
যাঁকে বিয়ে করছেন, তাঁর সঙ্গে যেমন অনেক মিল থাকতে হবে, তেমনই ‘আমি’ ও ‘আমরা’ আলাদা করার একটা অবকাশ থাকতে হবে সম্পর্কে। মাঝে বয়সে পৌঁছনোর পর সকলেরই একটা দৃঢ় ব্যক্তিত্ব তৈরি হয়। নিজস্ব সত্তা জলাঞ্জলি দিয়ে যদি কাউকে একটা নতুন সম্পর্ক বাঁধতে হয়, তা হলে সেটা বেশি দিন সুখকর হওয়া সম্ভব নয়। যদি দ্বিতীয়বার বিয়ের কথা ভাবেন, তা হলে এমন কাউকে বেছে নিন, যে আপনাকে বুঝবেন এবং সেই জায়গাটা ছেড়ে দেবেন।
যা আমার তা কি তোমার
মাঝ বয়সে বিয়ে করছেন। টাকা পয়সা, বিষয় আসয়, দায় দায়িত্ব, সবই কি ভাগ হবে। হলেও কী ভাবে হবে? আগের পক্ষ থেকে কোনও রকম সম্পত্তি পেয়ে থাকলে তার কী হবে? টাকা পয়সা নিয়ে নানা রকম বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। কোনও নতুন সম্পর্কের শুরু দিকে আবেগপ্রবণ হয়ে অনেকেই এ সব বিষয় আলোচনা করেন না। কিন্তু বিয়ের মতো একটা বড় সিদ্ধান্ত (আইনি পদক্ষেপও বটে) নিলে এগুলি অবশ্যই আলোচনা করে নেওয়া উচিত। যদি দু’জনেরই আর্থিক অবস্থা একই রকম হয়, তা হলে সমস্যা কম। কিন্তু যদি অনেকটা ফারাক থাকে, তা হলে অবশ্যই আগে থেকে সব পরিষ্কার করে নিন।
ছেলেমেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক
শ্রীময়ীর মেয়ে মানতে পারেনি, জামাই পাশে দাঁড়িয়েছে। এক ছেলে অবশ্য মেনে নিয়েছে, আরেক ছেলে আবার ঘর ছেড়েছে। সিরিয়ালে এ সব হয়েই থাকে। কিন্তু বাস্তবে এত গন্ডগোল হলে আপনারা একসঙ্গে কতটা শান্তিতে থাকবেন, সেটা ভেবে দেখার বিষয়ে। যদি দু’জনেরই সন্তান থাকে, তাঁদের সঙ্গে আপনাদের এবং তাঁদের একে অপরের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক সেটা যাচাই করে নেওয়া প্রয়োজন। বিয়ের আগেই ছোট ছোট প্রয়াশ করতে হবে যাতে এই সম্পর্কগুলি সহজ হয়ে যায়। যদি সেটা কোনও মতে না হয়, তা হলে সেটা উপেক্ষা করে আপনাদের বোঝাপড়াটা কতখানি হবে, সেটা বুঝে নিন।