প্রতীকী ছবি।
ব্রণর সমস্যায় জেরবার হয়ে যাচ্ছেন? বয়ঃসন্ধি পার করার পর থেকে সেই যে ব্রণর সমস্যা শুরু হয়, বেশ অনেকটা বয়স পর্যন্ত তা কিন্তু চট করে কমে না। ব্রণ কমাতে নানা রকম ঘরোয়া টোটকা মাখছেন, তাতে হয়তো সাময়িক মুক্তিও পাচ্ছেন। কিন্তু কিছু সময় যেতেই আবারও ব্রণর সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সমস্যা কমানোর চেয়ে সমস্যা একেবারে সমূলে উপড়ে ফেলাই ভাল নয়? ভাবছেন কী করে তা সম্ভব? কারণ ব্রণর সমস্যার শিকড় কিন্তু লুকিয়ে আপনার অভ্যাসই।
অস্বাস্থ্যকর ডায়েট
ভাত খেতে ভালবাসেন? কিংবা রুটি? কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খেলেই কিন্তু ব্রণর সমস্যা বাড়বে! অবশ্য দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার ক্ষেত্রেও কিন্তু সতর্ক থাকতে হবে একই কারণে! সেই সঙ্গে আইসক্রিম, চকোলেট কিংবা জাঙ্কফুড খাওয়ার অভ্যাসও ত্যাগ করতে হবে। তার বদলে ডায়েটে রাখুন ফল-শাক-সব্জি।
শরীরচর্চার পর স্নান না করা
শরীরচর্চা করার সময় অনেকই একটু আঁটসাঁটো জামা-কাপড় পড়েন। ফলে গায়ের ঘাম জামাকাপড়ে আটকে যায়। তাই শরীরচর্চার পর ঘাম শুকিয়ে স্নান করে মুখ ধুয়ে নেওয়া উচিত। নাহলে ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণ ঘটতে পারে।
অতিরিক্ত রোদ লাগানো
দিনের মধ্যে কোনও একটা সময়ে গায়ে রোদ লাগানো ভাল। কিন্তু সেটা সময় মেপেই হওয়া বাঞ্ছনীয়। অতিরিক্ত রোদ লাগালে ত্বকে প্রদাহ, সানবার্ন ইত্যাদি হতে পারে। এমনকি ত্বকের ছিদ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। ফলে অতিরিক্ত ঘাম ও ব্যাকটিরিয়া সংক্রমণ দেখা দিতে পারে।
অপর্যাপ্ত ঘুম
একজন পূর্ণ বয়স্ক মানুষের ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন আছে। অনেকেই এর চেয়ে কম ঘুমিয়ে থাকেন। আর সেই কারণে শরীর থেকে ঠিকমতো হরমোন নিঃসরণ ঘটে না। তা থেকেও ব্রণ হতে পারে। ভাল ঘুমের জন্য ও শরীরে হরমোনের তারতম্য ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত শরীরচর্চা করুন।