প্রতীকী ছবি।
অনেকের ঘুম থেকে ওঠার পরও ক্লান্ত লাগে। কিংবা সারা দিনই অন্য কাজের মাঝে ক্লান্ত লাগে। ঘুম না পেলেও শরীরে চলতে চায় না। সামান্য গায়ে-হাত-পায়ে ব্যথা হয়। এর পিছনে অনেক রকম কারণ থাকতে পারে। শরীরের উপর একটানা ধকল গেলে সেই ক্লান্তি কাটানোর জন্য খানিক বিশ্রাম নেওয়া প্রয়োজন। তা না হলে ক্লান্তি জমে জমে শরীর একটুতেই কাহিল হয়ে পড়বে। অন্য কোনও শারীরিক জটিলতারও উপসর্গ হতে পারে ক্লান্তি। উচ্চ রক্তচাপ যাঁদের রয়েছে, তাঁরা একটুতেই হাঁপিয়ে যান।
তবে শরীরে আয়রনের অভাব দেখা দিলেও সারা ক্ষণ ক্লান্ত লাগতে পারে। একটুতেই আলস্য চেপে ধরতে পারে। একটু খাওয়াদাওয়ার দিকে নজর দিলেই এই সমস্যা কমতে পারে। রোজকার ডায়েটে এমন খাবার রাখতে হবে যা থেকে শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন পায়। জেনে নিন সেগুলি কী।
মাছ
কাঁকড়া, চিংড়ির মতো সামুদ্রিক খাবার ছাড়াও যে কোনও মাছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। তাই মাছ রাখুন রোজকার খাদ্যতালিকায়।
বীজ
খিদে পেলে মুখ চালানোর জন্য ফ্ল্যাক্স সিড, কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ দারুণ উপকারি। আবার শুধু মুখে খেতে ভাল না লাগলে কোনও স্যালাড বা ডাল-তরকারিতেও দিয়ে দিতে পারেন।
চিকেন
লিন প্রোটিন বা চিকেনে ‘হেম আয়রন’ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে। যা সাধারণ আয়রনের চেয়ে অনেক দ্রুত হজম করতে পারে আমাদের শরীর।
সবুজ শাক-সব্জি
পালং শাক, কলমির শাক, লেটুস, ব্রকোলির মতো সবুজ সব্জি খান। তবে বর্ষাকালে এই ধরনের শাক সব্জি খেতে চাইলে ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। বেশ কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রাখতে পারেন। কিংবা হাল্কা ভাপিয়ে নিয়ে স্যালাডে দিতে পারেন। কাঁচা সব্জি খাবেন না।
ড্রাই ফ্রুট
শরীরে স্ফূর্তি আনতে এক মুঠো ড্রাই ফ্রুট দারুণ কাজে দেয়। বিকেলের দিকে চায়ের সঙ্গে কাঠবাদাম, কিশমিশ, আখরোট, পেস্তা, খেজুরের মতো ড্রাই ফ্রুট খেতে পারেন।