ব্যক্তিগত সমস্যা দেখা দিলে তা লুকিয়ে রাখতেই পছন্দ করেন তরুণ প্রজন্ম। প্রতীকী ছবি।
সুখী দাম্পত্য জীবনের অন্যতম চাবিকাঠি সুস্থ যৌনজীবন। কিন্তু এখনও যৌনজীবন নিয়ে কথা বলতে অস্বস্তিতে পড়েন অনেকেই। বিশেষ করে পুরুষরা। তরুণ প্রজন্মের পুরুষরা অনেক বিষয়েই ‘স্মার্ট’ কিন্তু ব্যক্তিগত কিছু বিষয়ে কোনও সমস্যা দেখা দিলেও তা লুকিয়ে রাখতেই পছন্দ করেন। বিশেষ করে, যৌনজীবনে সমস্যা দেখা দিলেও তা মুখ ফুটে বলে উঠতে পারেন না পুরুষরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোজকার একাধিক অভ্যাস অজান্তেই ডেকে আনতে পারে এই ধরনের সমস্যা। কিন্তু খোলামেলা ভাবে কথা না বলতে পারার কারণে অনেকেই সে সম্পর্কে অবগত নন।
কোন কোন কারণে পুরুষদের যৌনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে?
১) আলস্য
তরুণ প্রজন্ম যত স্মার্ট হচ্ছে, ততই তাদের শারীরিক সক্রিয়তা কমে আসছে। অবশ্য তার জন্য অনেকটাই দায়ী তাদের কাজের ধরন। ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা কাজের পর বা কাজে যাওয়ার আগে শরীরচর্চা করতে ইচ্ছে করে না অনেকেরই। তার উপর অফিসেও অনেক ক্ষণ এক জায়গায় বসে কাজ করতে হয়। যার প্রভাব পড়ে পুরুষদের যৌনজীবনে।
২) মদ্যপান
অতিরিক্ত মদ্যপান করলে পুরুষদের টেস্টোস্টেরন হরমোনের মাত্রা কমিয়ে দেয়। যার ফলে শুক্রাণুর পরিমাণও কমে যায়। অতিরিক্ত মদ্যপান এড়াতে পারলে নিঃসন্দেহে তা পুরুষদের যৌনজীবন এবং ভবিষ্যতে সন্তান উৎপাদনে সুদূরপ্রসারী ফল পাওয়া যায়।
৩) মানসিক চাপ
কাজ, বাড়ি এবং তার বাইরেও প্রত্যেকের ব্যক্তিগত জীবনে নানা রকমের সমস্যা থাকে। মানসিক চাপ বা অবসাদ কিন্তু সরাসরি হরমোনের উপর প্রভাব ফেলে। তাই দিনের শেষে নিজের জন্য সময় খুঁজে নেওয়া জরুরি। ধ্যান, প্রাণায়াম, যোগচর্চা মানসিক চাপ কমাতে অনেকটাই সাহায্য করে। এ ছাড়া গান শোনা, গল্পের বই পড়া, বাগান করার মধ্যে দিয়েও মানসিক শান্তি খুঁজে পাওয়া সম্ভব।
৪) স্থূলতা
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস এবং দীর্ঘ ক্ষণ এক জায়গায় বসে থেকে কাজ করার ফলে ওজন বাড়া স্বাভাবিক। ওজন বেশি বা ওজন কম, দু’ধরনের মানুষই যৌনজীবনে সমস্যার মুখে পড়েন। নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন করলে তবেই স্বাভাবিক ওজন ধরে রাখা সম্ভব। সুস্থ যৌনজীবনের জন্য যা বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
৫) অসুরক্ষিত যৌনজীবন
উল্লিখিত কারণগুলি ছাড়াও পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা এবং যৌনতায় অনীহার কারণ কিন্তু অসুরক্ষিত যৌনজীবন। মহিলা সঙ্গীর থেকে পুরুষদের শরীরে বা তার উল্টোটি হলেও প্রজননে সমস্যা হতে পারে।