অস্ত্রোপচারের জন্য তাঁদের সন্তানের শরীরে যে রক্ত ব্যবহার করা হবে, তা যেন কোভিড টিকা মুক্ত হয়। প্রতীকী ছবি।
প্রাণ সংশয় থাকা সত্ত্বেও সন্তানের অস্ত্রোপচারে বাধা দিচ্ছেন অভিভাবক। এই মর্মে আদালতের কাছে ওই শিশুটির দেখাশোনার দায়িত্ব নিতে চেয়ে আবেদন জানিয়েছে নিউ জ়িল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য সংস্থা।
সেই দেশের একটি দৈনিকের প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, ‘পালমোনারি ভ্যাল্ভ ডিজ়িজ়’ নামক জটিল রোগে আক্রান্ত এক সদ্যোজাতকে অস্ত্রোপচারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। অস্ত্রোপচারের জন্য বাইরে থেকে রক্ত দেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। সেই অনুযায়ী ব্যাঙ্ক থেকে রক্ত দেওয়ার ব্যবস্থাও করা হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই বেঁকে বসেন শিশুর বাবা-মা। তাঁদের দাবি, অস্ত্রোপচারের জন্য তাঁদের সন্তানের শরীরে যে রক্ত ব্যবহার করা হবে, তা যেন কোভিড টিকা মুক্ত হয়।
শিশুর বাবা জানান, “আমরা আমাদের সন্তানের জন্য টিকাবিহীন রক্তই চাই। এটিই আমাদের শেষ কথা।” সূত্রের খবর, ওই শিশুর বাবা-মা তাঁদের দাবিতে অনড়। কারণ তাঁরা ‘অ্যান্টি-ভ্যাক্সিন’ অভিযানের পক্ষে।
যে কোনও দেশের ক্ষেত্রেই প্রাথমিক ভাবে রক্ত দেওয়া বা নেওয়ার সময় রক্তের ‘গ্রুপ’ যাচাই করে নেওয়াই দস্তুর। সেই অনুযায়ীই রক্ত ভাগ করে রাখা হয় ব্যাঙ্কে। কিন্তু কোভিড টিকা কারা নিয়েছেন, বা কারা নেননি এমন ভাবে রক্ত ভাগ করার নির্দেশ কোনও দেশেই নেই। এ ছাড়াও টিকা নেওয়া রক্ত ব্যবহার করলে যে পরবর্তী কালে তা থেকে কোনও ক্ষতি হতে পারে, এমন কোনও প্রমাণও মেলেনি।
চিকিৎসক মাইক শেপার্ড বলেন, “যে কোনও অভিভাবকের ক্ষেত্রেই অসুস্থ সন্তানের জন্য চিন্তা হওয়া স্বাভাবিক। কিছু ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেওয়াও সমস্যার।”
শিশুটির বিষয়ে চিকিৎসকের সঙ্গে বিস্তারিত কথা বলার পরই ওই সংস্থা অকল্যান্ড উচ্চ আদালতে শিশুসুরক্ষা আইনের অধীনে শিশুটির দেখাশোনা করার জন্য যাবতীয় অধিকারের দাবি জানিয়ে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন।
যদিও মামলা শুরুর আগে এই সংক্রান্ত বিষয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খুলতে চায়নি আদালত।