দাঁতের যত্নে ঘরোয়া দাওয়াই। ছবি: সংগৃহীত।
দাঁতে যন্ত্রণা কিংবা দাঁত তোলার প্রয়োজন না পড়লে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার নাম করেন না বেশির ভাগ মানুষই। মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দু’বেলা দাঁত মাজেন। মাঝেমধ্যে মাউথ ওয়াশ দিয়ে কুলকুচি করলেও মুখের তরতাজা ভাব ফিরে আসে। কিন্তু দাঁতের হলদেটে ছোপ? তা উঠবে কিসে? পান খাওয়ার বা ধূমপান করার অভ্যাস নেই বলে যে দাঁত চিরকাল মুক্তোর মতো ঝকঝক করবে এমনটা নয়। ইদানীং অনেকেই দাঁত ‘স্কেলিং’ করান। কিন্তু তা বেশ খরচসাপেক্ষ। তবে এত খরচ না করে যদি একটু সময় ব্যয় করতে পারেন, তা হলেই কাজ হবে। হেঁশেলেই এমন কিছু উপকরণ রয়েছে, যা নিয়মিত ব্যবহার করলে দাঁত ঝকঝকে হয়ে উঠতে পারে।
১) কলার খোসা
কলার উপকরিতা নিয়ে আমরা সকলেই কমবেশি সচেতন। কিন্তু খোসা ব্যবহার করে যে ঝলমলে হাসিও পেতে পারেন, সেটা বোধহয় অনেকেরই অজানা। কলার খোসা জমিয়ে রাখুন ফ্রিজে। রোজ দু’’বেলা কিছু ক্ষণ তা দিয়ে দাঁত ঘষুন। কলার পোটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম দাঁতের স্বাস্থ্য ভাল রাখবে। আর হলেদেটে ভাবও দূর হবে।
২) লেবুর রস এবং নুন
পাতিলেবুর রসে থাকে সাইট্রিক অ্যাসিড। পাতিলেবুর রস আর লবণ একসঙ্গে মিশিয়ে দাঁত মাজলে সহজেই সাদা হয় দাঁত। দাঁত ঘষতে ব্যবহার করতে পারেন পাতিলেবুর খোসাও। এতে দাঁতের হলদে ভাব দূর হয়।
৩) সর্ষে বা নারকেল তেল
দাঁতের যত্নেও কাজে লাগে তেল। সর্ষের তেল হোক বা নারকেল তেল সামান্য পরিমাণে মুখে নিয়ে কুলকুচি করুন। এমন ভাবে করবেন, যাতে দাঁতের খাঁজে খাঁজে পৌঁছয় তেল। মিনিট ১৫ এ ভাবে কুলকুচি করে তেল ফেলে দিন। রোজ এই পদ্ধতিতে যত্ন নিলে দাঁত ঝকঝকে হবে।
৪) অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার
অতিরিক্ত মেদ ঝরাতে অনেকেই সকালে ঈষদুষ্ণ জলে সামান্য অ্যাপ্ল সাইডার ভিনিগার মিশিয়ে খান। জলে এই ভিনিগার মিশিয়ে দু’বেলা কুলকুচি করলে দাঁতের হলদেটে ছোপ দূর হয়। তবে, যাঁদের মুখের ভিতর ঘা আছে, তাঁরা এই বিষয়ে সাবধান।
৫) বেকিং সোডা
রাতে বেকিং সোডা দিয়ে দাঁত মেজে নিতে পারেন। ঘুমের সময়ে সাধারণত মুখের ভিতর ব্যাক্টেরিয়া জন্মানোর আশঙ্কা থাকে। বেকিং সোডা ক্ষতিকর কিছু ব্যাক্টেরিয়ার সঙ্গে লড়তে সক্ষম। ফলে দাঁত ভাল থাকে। দাগ-ছোপ কম পড়ে। রোজ রাতে এক চামপ জলে সামান্য বেকিং সোডা মিশিয়ে নিন। তার পর তা দিয়ে দাঁত মাজুন।