টাকা জমানোর কৌশল! ছবি: সংগৃহীত।
সামান্য হলেও আশা ছিল। মার্চ মাসের শেষে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে যে পরিমাণ টাকা ঢুকবে, সেই সংখ্যাগুলিতে একটু বদল ঘটবে। তেমন কিছুই হয়নি। অথচ খরচ কমার নাম নেই! উৎসব, অনুষ্ঠান, লোক-লৌকিকতা লেগেই রয়েছে। সব খরচ সামলে মাসের শেষে সঞ্চয় বলতে আর কিছুই হয় না। তবে অভিজ্ঞরা বলছেন, টাকা জমাতে না পারার পিছনে রয়েছে সঠিক পরিকল্পনার অভাব। আবার, খরচ হয়ে যাবে বলে হাতে নগদ রাখেন না অনেকে। কিন্তু কার্ড ঘষে কেনাকাটা করতেই থাকেন। সেই অভ্যাসও ভাল নয়। খুব বেশি নয়, সাধারণ কয়েকটি কৌশল মেনে চললেই সব খরচ সামলে মাসের শেষে সঞ্চয় করতে পারবেন।
১) কোন খাতে খরচ কত?
প্রতি মাসে কোথায় কত খরচ হয়, তার একটা তালিকা আগে থেকে তৈরি করে রাখুন। এমন কিছু খরচ আছে, যেগুলি প্রতি মাসে বাড়ে না। সেগুলি আগে আলাদা করে রাখুন।
২) সাধারণ বাজেট করে রাখা
কোন খাতে কেমন খরচ হয়, তা হিসাব করে নেওয়ার পরের ধাপ হল বাজেট। সঞ্চয়ের কত শতাংশ কোন খাতে ধার্য করবেন, সেই পরিকল্পনা আগে থেকে করে রাখা ভাল। তাতে অতিরিক্ত কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
৩) বিপদে ভরসা:
বিপদ তো আগে থেকে জানান দিয়ে আসে না।তাই নিজের উপার্জন থেকে অল্প হলেও কিছু টাকা সরিয়ে রাখুন।যাতে বিপদ-আপদে কাজে লাগে।তবে ভীষণ প্রয়োজন না পড়লে কোনও ভাবেই সেই টাকায় হাত দেওয়া যাবে না।
৪) ধার নয়:
‘বাকি রাখা খাজনা, মোটে ভাল কাজ না’ এ কথা তো প্রায় সকলেই জানেন। তাই নিজের শখ-শৌখিনতা বজায় রাখার আগে ক্রেডিট কার্ড বা অন্য কোথাও ধার থাকলে তা মাসের শুরুতেই মিটিয়ে ফেলার ব্যবস্থা করুন।
৫) সঞ্চয়:
উপার্জনের থেকে কতটা টাকা সঞ্চয় করতে চান, তা আগেভাগে বুঝে নিন। এর পর প্রথমেই আপনার প্ল্যান মাফিক সঞ্চয়ের জন্য নির্ধারিত টাকা আলাদা করে রাখুন। দেখবেন যেন সেই টাকায় হাত না দিতে হয়।