দইয়ে পান গন্ধরাজের ছোঁয়া। ছবি: সংগৃহীত।
গরমে শরীর ঠান্ডা রাখতে টক দই তো খেয়েই থাকেন। অনেকে আবার লস্যি, ঘোলও খান। দই খেলে পেট ভাল থাকে। চুল, ত্বকের জেল্লা বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে দই। আগে যে কোনও অনুষ্ঠানবাড়িতেই শেষপাতে আইসক্রিমের বদলে থাকত মিষ্টি দই। সময় বদলেছে। এখন বাড়িতে অতিথি এলে দোকান থেকে সেই একই রকম মিষ্টি দই কেন খাওয়াবেন? বাড়িতে দই পেতে খাওয়াতে পারেন। সঙ্গে থাকতে পারে গন্ধরাজ লেবুর টুইস্ট। গন্ধরাজ মোমো, রোল কিংবা কবাব তো খেয়েছেন, এ বার গন্ধরাজ দই খেয়ে দেখুন কেমন লাগে! রইল প্রণালী।
উপকরণ:
গন্ধরাজ লেবু: ২টি
কোরানো লেবুর খোসা: ২ টেবিল চামচ
টক দই: ৫০০ গ্রাম
কনডেন্সড মিল্ক: ৩ কাপ
মাটির ভাঁড়: ৪-৫টি
প্রণালী:
১) প্রথমে লেবুর খোসা গ্রেট করে রাখুন। খেয়াল রাখবেন, শুধু সবুজ অংশটিই যেন থাকে।
২) এ বার ছোট টুকরো করে লেবু কেটে রাখুন।
৩) একটি পাত্রে টক দই এবং কনডেন্সড মিল্ক ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৪) প্রয়োজনে কয়েক চামচ গুঁড়ো দুধ মিশিয়ে নিতে পারেন। দই ভাল জমবে।
৫) সমস্ত উপকরণ ভাল করে মিশিয়ে নেবেন। যেন মিশ্রণে কোনও রকম দলা না থাকে।
৬) এ বার দইয়ের মিশ্রণে খনিকটা গন্ধরাজ লেবুর রস দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন।
৭) এই মিশ্রণের মধ্যে সামান্য গন্ধরাজ লেবুর খোসার গুঁড়ো মিশিয়ে নিন।
৮) এ বার মাটির ছোট ভাঁড়ের মধ্যে দইয়ের মিশ্রণ ঢেলে নিন।
৯) উপর থেকে আরও একটু লেবুর খোসা গুঁড়ো ছড়িয়ে দিন। লেবুর পাতা কেটে ছোট টুকরো করে পাশে রেখে দিতে পারেন। দেখতে ভাল লাগবে।
১০) এ বার মাটির ভাঁড়ের মুখ ঢেকে দিন। উপর থেকে মোটা কাপড় বা তোয়ালে জড়িয়ে রাখতে পারলে ভাল হয়।
১১) কয়েক ঘণ্টা পর দই জমে গেলে, ফ্রিজে তুলে রেখে দিন। গরমের দুপুরে গন্ধরাজ দই খেলে শরীর এবং মন, দুই-ই ঠান্ডা হবে।