কোন কোন গাছ ঘরে রাখবেন? ছবি: সংগৃহীত।
শীত পড়তে না পড়তেই বাতাসে দূষণের মাত্রা বাড়তে শুরু করেছে। এরই মধ্যে নিজের পরিসরটুকু যদি দূষণমুক্ত রাখা যায়, সেই চেষ্টা করেন সকলে। এই উদ্দেশ্যে অনেকেই ‘এয়ার পিউরিফায়ার’ বা বায়ু পরিশোধক যন্ত্র কেনেন। তবে সেই সব যন্ত্র যথেষ্ট ব্যয়বহুল। তাই সকলের পক্ষে কেনা সম্ভব না-ও হতে পারে। কিন্তু পরিবেশবিদেরা বলেন, প্রাকৃতিক উপায়েই ঘরের বাতাস দ্রুত নির্মল করে ফেলা যায়। দরকার বিশেষ কয়েকটা গাছ। ঘরের ভিতরের গাছ দিনের আলোয় কার্বন ডাই অক্সাইডকে সালোকসংশ্লেষ প্রক্রিয়ায় অক্সিজেনে পরিণত করে। শুধু তা-ই নয়, কোনও কোনও গাছ বেনজিন, ফর্মালডিহাইডের মতো দূষিত পদার্থকেও বাতাস থেকে টেনে নেয়।
ঘরের মধ্যে প্রাণ ভরে শ্বাস নিতে কোন কোন গাছ রাখা যেতে পারে?
১) অ্যালো ভেরা:
অ্যালো ভেরা সাকিউলেন্ট বা ক্যাকটাস জাতীয় গাছ। অর্থাৎ অল্প জলে, শুকনো আবহাওয়াতেও অ্যালো ভেরা ভাল থাকে। টবে ক্যাকটাস সয়েল অথবা সাধারণ মাটি ভরে দিন। খেয়াল রাখুন, যেন প্রতিটি টবেই বেশ কয়েকটি করে গর্ত বা ড্রেনেজ হোল থাকে। কারণ, মাটি অতিরিক্ত জল ধারণ করলে অ্যালো ভেরা গাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
২) স্পাইডার প্লান্ট:
এই গাছ ঘরের ভিতরে বাঁচানো খুব সহজ। ফর্মালডিহাইড এবং জাইলেনের মতো দূষিত পদার্থ বাতাস থেকে টেনে নেয় এই গাছ। শিশু এবং পোষ্যরাও নিরাপদ এই গাছ থেকে।
৩) স্নেক প্লান্ট:
খুব কম জলে বেঁচে থাকে এই গাছগুলি। খুব বেশি আলোরও প্রয়োজন নেই এদের। তাই ঘরের কোণে, যেখানে সরাসরি সূর্যের আলো পৌঁছয় না, সেখানেও রাখতে পারেন এই গাছগুলি। সপ্তাহে এক দিন বা কোনও কোনও সময়ে দশ দিনে এক বার জল দিলেও চলে।
৪) পিস লিলি:
সামান্য যত্নেই দিব্যি বেঁচে থাকতে পারে এই গাছ। তবে কড়া রোদ আসে, ঘরের এমন জায়গায় এই গাছ না রাখাই ভাল। মাটি একটু ভেজা ভেজা থাকলে এই গাছ খুব ভাল থাকে। সারা বছর ধরেই এ গাছে সাদা ফুল হয়। যা এই গাছের জনপ্রিয়তার সবচেয়ে বড় কারণ। সৌন্দর্য বাড়িয়ে তোলার পাশাপাশি ঘরের বাতাস পরিশুদ্ধ রাখতেও সাহায্য করে এই গাছ।
৫) অ্যান্থুরিয়াম বা ফ্ল্যামিংগো লিলি:
ঘরের যে কোনও জায়গায় রাখা যায়। আলো ভালবাসে এই গাছ। সারা বছর লাল রঙের ফুল ফোটে। পিস লিলি-র মতো এর মাটিও একটু ভিজে রাখতে পারলে ভাল হয়। বাতাস থেকে বিভিন্ন ধরনের দূষিত পদার্থ শোষণ করে নিতে পারে এই গাছ।