২০১৯ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে কর্ণ জোহরের হাত ধরে ‘ স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার ২’ ছবিতে আত্মপ্রকাশ করেন চাঙ্কি পাণ্ডের মেয়ে অনন্যা। ছবি: সংগৃহীত।
অভিনয় দুনিয়ায় পা রাখার পর থেকেই অনন্যা পাণ্ডের সঙ্গে জুড়ে রয়েছে একটি শব্দবন্ধ— ‘নেপোটিজ়ম’— পক্ষপাত। তারকা-সন্তান হওয়ার সুবাদেই একের পর এক ছবিতে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন তিনি, অভিযোগ উঠেছে এমনই। এ বার অনন্যা নিজেই স্বীকার করে নিলেন, ক্যামেরা বা শুটিং সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারণাই ছিল না প্রথম ছবির আগে।
২০১৯ সালে মাত্র ২১ বছর বয়সে কর্ণ জোহরের হাত ধরে ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার ২’ ছবিতে আত্মপ্রকাশ করেন চাঙ্কি পাণ্ডের মেয়ে অনন্যা। তার পর থেকেই তিনি সমালোচনার সম্মুখীন। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অনন্যা স্বীকার করেছেন, এ ছবিতে কাজ করার সময় তিনি প্রায় কিছুই জানতেন না।
তারকা-সন্তানেরা যেমন বিশেষ সুবিধা পেয়ে থাকেন বলিউডের অন্দরে, তেমনই তাঁদের কাজে নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু সুবিধা পান প্রযোজক পরিচালকেরাও। তাঁরা ছোটবেলা থেকেই চলচ্চিত্র জগতের মধ্যে বেড়ে ওঠায় বিষয়টি আয়ত্তে থাকে। কিন্তু অনন্যার বেলায় নাকি সেটাও ঘটেনি। অনন্যা সাফ জানিয়েছেন, বাবা যখন ছবিতে কাজ করতেন তখন তিনি দু’একবার সেট-এ গিয়েছেন। কিন্তু সে সব এতই ছোটবেলার কথা, যে তিনি কিছুই বুঝতে পারেননি। ফলে প্রথম বার অভিনয় করার সময় তাঁকে অনেক সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে। দিনে দিনে কাজের পদ্ধতি বদলেছেন তিনি।
অনন্যা জানিয়েছেন, তাঁর কোনও প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাও ছিল না অভিনয়ের ক্ষেত্রে। ছবি নির্মাণ সম্পর্কেও তাঁর ধারণা স্পষ্ট ছিল না। এমনকি ‘ওয়াইড শট’ বা ‘ক্লোজ় শট’-এর পার্থক্য বুঝতেন না, জানতেন না কী ভাবে ক্যামেরা কাজ করে। অনন্যা বলেছেন, তিনি ভাবতেন একবারে সব দৃশ্য ধারণ করে ফেলতে পারে ক্যামেরা। কোথায় অ্যাঙ্গেল, কোথায় আলো— কিছুই বুঝতেন না। ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার ২’ ছবিতে তাঁকে বিশেষ ভাবে সাহায্য করেছিলেন সহ-অভিনেতা টাইগার শ্রফ। তিনিই শিখিয়েছেন, কী ভাবে আলো নিতে হয়। অনন্যা অবশ্য এই অভিজ্ঞতায় খুশি। তিনি প্রতিটি মুহূর্ত উপভোগ করেছেন বলেও জানিয়েছেন।