অ্যালঝাইমার্স ডিজিজে আক্রান্তদের জন্য একটি নতুন ওষুধ তৈরি হয়েছে। ফাইল চিত্র
দু’দশকের চেষ্টার ফল মিলল। চিকিৎসার নয়া দিক খুলল। অ্যালঝাইমার্স রোগে আক্রান্তদের জন্য একটি নতুন ওষুধ তৈরি হয়েছে। সোমবার আড্যুহেল্ম নামক সেই ওষুধের ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে আমেরিকায়। এ নিয়ে বহু দিন ধরেই চলছে গবেষণা। তবে গুরুতর কোনও অসুখের ক্ষেত্রে, ওষুধ তৈরির একটি নিয়ম রয়েছে। নানা স্তরে পেতে হয় অনুমোদন। এবার সে দেশের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফডিএ) চূড়ান্ত অনুমতি দিয়েছে।
অ্যালঝাইমার্সের চিকিৎসায় অনেক দিন ধরেই এমন ওষুধ তৈরির চেষ্টা চলছিল। আড্যুহেল্মের মতো কোনও ওষুধ এর আগে তৈরি হয়নি। অ্যালঝাইমার্সের জন্য ওষুধ শেষ বেরিয়েছিল ২০০৩ সালে। এর আগেও যা যা ওষুধ বেরিয়েছে, সবই ওই অসুখের উপসর্গের উপরে নির্ভর করে বানানো। সে সব উপসর্গ নিয়ন্ত্রণে রাখাই মূলত ছিল উদ্দেশ্য। কিন্তু এই অসুস্থতার মূলে কী? কীসের থেকে এ সব উপসর্গ দেখা দেয়? তার কোনও চিকিৎসা সে ভাবে ছিল না। আড্যুহেল্ম তা করবে বলেই মত বিজ্ঞানীদের একাংশের।
অনেকে বলেন, মস্তিষ্কে অতিরিক্ত কিছু প্রোটিন জমাট বাঁধলে তার থেকে হয় অ্যালঝাইমার্স রোগ। এর জেরে বয়স বাড়ার সঙ্গে কমতে থাকে প্রতিরোধশক্তি। ধীরে ধীরে চলে যেতে থাকে স্মৃতিশক্তি। এই সকল রোগীকে অ্যান্টিবডির জোগান দেওয়া গেলে সুবিধা হতে পারে বলে মত বহু চিকিৎসকের। আড্যুহেল্ম সেই কাজ করতে সক্ষম বলে জানানো হয়েছে।
যে ক’জন রোগীর শরীরে এই ওষুধ ব্যবহার করা হয়েছিল, তাঁদের সকলের উপরে এক ভাবে কাজ করেনি আড্যুহেল্ম । তবে সকলের ক্ষেত্রেই এই ওষুধ জমাট বাঁধা প্রোটিনের মাত্রা কিছুটা কমাতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।