প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহীত
বছর কুড়ি-তিরিশ আগেও সব বাড়িতে টেবিল-চেয়ারে বসে খাওয়ার রীতি ছিল না। বেশির ভাগ বাড়িতেই মেঝেতে আসন পেতে মাটিতে থালা রেখেই দুপুর বা রাতের খাওয়া হত। এমনকি পুজো বাড়ির ভোগ খাওয়ার মতো ব্যাপার কিংবা বাড়ির ছোটখাটো অনুষ্ঠানেও লোকে মেঝেতে বসেই খেত। এখন মেঝেতে বসে খাওয়ার চল প্রায় নেই। বিশেষত শহরাঞ্চলের সবাই টেবিল-চেয়ারে খেতে অভ্যস্ত। কিন্তু স্বাস্থ্য ভাল রাখতে চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন পুরনো অভ্যাসে ফিরতে। কারণ এই ভাবে মেঝেতে বসে খেলে শরীর ও স্বাস্থ্যের একাধিক উপকার হয়।
১) মেঝেতে খাওয়ার সময় আমার যেভাবে হাঁটু ভাজ করে বসি, সেটা পদ্মাসনের ভঙ্গি। এই ভাবে বসলে পেটের তলদেশে চাপ পড়ে এবং এই ভঙ্গি মানসিক উদ্বেগ থেকেও মুক্ত করে।
২) পদ্মাসনের ভঙ্গিতে বসার পর মেঝে থেকে খাবার তোলার জন্য পিঠ অনেকটা সামনের দিকে বেঁকাতে হয়। বার বার গ্রাস তোলার সময় এই ভঙ্গি করলে খাবার তাড়াতাড়ি হজম হয়।
৩) এই ভঙ্গিতে বসে থাকার ফলে শরীরের পেশি শক্তিশালী হয়। এ ছাড়া শরীরের রক্তসঞ্চালন ঠিক মতো হয়। হৃদ্রোগের সমস্যা থাকলে এই ভাবে খেতে বসলে তা শরীরের পক্ষে বেশি উপকারী হবে।
৪) পা, কোমর, হাঁটু শরীরের এই তিন অংশেরই উপকারই হয় এই ভঙ্গিতে। কারণ এই ভাবে বসার সময় হাঁটু যে ভাবে বাঁকাতে হয়, তাতে হাঁটুর ভাল ব্যায়াম হয়। শরীরের নীচের অংশের বিভিন্ন গাঁটগুলি আরও সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে যে কোনও ব্যথা-বেদনা হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।