রোজকার জীবনে বিজ্ঞান ছবি: সংগৃহীত
তাড়াহুড়োর সময়ে ট্র্যাফিক সিগন্যালে লাল আলো দেখতে ভাল লাগে না কারওই। কিন্তু এই আলোই রোজ রক্ষা করে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ। শুধু ট্র্যাফিক সিগন্যালই নয়। ট্রেন ও বিমান, কিংবা অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রেই সাধারণত বিপদের সঙ্কেত হিসেবে লাল রঙের আলো ব্যবহার করা হয়। কিন্তু অন্য সব রঙের বদলে কেন লালই ব্যবহার করেন জানেন কি?
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই আপাত তুচ্ছ বিষয়টির পিছনেও রয়েছে বিজ্ঞানের গভীর সূত্র। বিজ্ঞান বলছে দৃশ্যমান আলোকরশ্মি মূল সাতটি রঙে বিভক্ত। বেগুনি, নীল, আসমানি, সবুজ, হলুদ, কমলা ও লাল। এই কারণেই রামধনুতে এই সাতটি রং দেখতে পাওয়া যায়। মজার বিষয় হল এই রংগুলি তরঙ্গ দৈর্ঘ্য অনুসারে পর পর সাজানো থাকে। আসলে আলোকরশ্মি যখন বায়ুমণ্ডল ও ধূলিকণার মধ্যে দিয়ে যায় তখন তার বিচ্ছুরণ হয়। বিজ্ঞান বলছে, যে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি সেই আলোর বিচ্ছুরণ তত কম। আর আলোকরশ্মি যত কম বিচ্ছুরিত হবে তত দূর থেকে স্পষ্ট দেখা যাবে সেই আলো। অর্থাৎ সহজ ভাষায় বললে, যে আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য যত বেশি সেই আলো তত দূর থেকে স্পষ্ট দেখা যায়।
লাল রঙের আলোর তরঙ্গদৈর্ঘ্য সর্বাধিক। স্বাভাবিক ভাবেই বিপদের সঙ্কেত এমন হাওয়া প্রয়োজন যা জরুরি ভিত্তিতে বহু দূর থেকে স্পষ্ট ভাবে শনাক্ত করা যায়। ফলে লাল রং অনেক দূর থেকেও সবচেয়ে স্পষ্ট ভাবে দেখা যায়। এমনকি, কুয়াশা ও ধুলোবালির মধ্যেও স্পষ্ট দেখা যায় লাল আলো। তা ছাড়া আমাদের চোখ লাল রঙের প্রতি বেশি সংবেদনশীল কাজেই লাল রং অনেক দূর থেকে স্পষ্ট চেনা যায়। এই সব কারণেই লাল রং ব্যবহার করা হয় বিপদের সঙ্কেত হিসেবে।