কিছু কিছু কন্ডোমকে অতিরিক্ত মসৃণ করে তুলতে ক্যাসেইন নামের একটি প্রোটিন ব্যবহার করা হয়। প্রতীকী ছবি।
নিরামিষ খাবেন, না আমিষ, তা একেবারেই ব্যক্তিস্বাধীনতার বিষয়। কেউ যেমন পছন্দ করেন নিয়মিত মাছ-মাংস-ডিম খেতে, তেমনই অনেকের আবার আমিষ খাবার একেবারেই না-পসন্দ! কেউ কেউ তো আবার শুধু খাবার নয়, যাবতীয় প্রাণীজ জিনিসই জীবন থেকে বাদ দিয়ে দেন। তাঁরা ভিগান জীবনধারায় বিশ্বাসী। ভিগানরা শুধু খাদ্য নয়, প্রাণী ও প্রাণীদেহ থেকে তৈরি সব পণ্যই বর্জন করেন। কিন্তু জানেন কি, অনেক সময় অজান্তেই প্রাণীজ উপাদান সমন্বিত বিভিন্ন জিনিস আমরা ব্যবহার করে চলি নিয়মিত?
১। কন্ডোম: সব কন্ডোম না হলেও, কিছু কিছু কন্ডোমকে অতিরিক্ত মসৃণ করে তুলতে ক্যাসেইন নামের একটি প্রোটিন ব্যবহার করা হয়। এই প্রোটিনটি পাওয়া যায় মূলত দুধ থেকে। ভিগান জীবনধারায় দুগ্ধজাত পদার্থ ব্যবহার করাও কিন্তু নিষিদ্ধ।
২। লিপস্টিক: অধিকাংশ লিপস্টিকেই বিভিন্ন প্রাণীজ উপাদান ব্যবহার করা হয়। অনেক লিপস্টিকে কারমাইন বলে একটি পদার্থ থাকে, যা পতঙ্গ থেকে পাওয়া যায়। কিছু কিছু লিপস্টিকে মৌচাক থেকে প্রাপ্ত মোম বা ‘বি ওয়াক্স’ ব্যবহার করা হয়। ব্যবহার করা হয় ল্যানোলিন নামের এক পদার্থ, যা পাওয়া যায় ভেড়ার শরীর থেকে।
৩। চিউইং গাম ও চকোলেট: অধিকাংশ চিউইং গামই চিবোতে কিছুটা রাবারের মতো লাগে। যে পদার্থের কারণে সেটি হয়, তা হল জেলাটিন। এই উপাদানটি কোলাজেন প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে তৈরি হয়। আর এই কোলাজেন পাওয়া যায় গবাদি পশুর চামড়া, লিগামেন্ট ও টেন্ডনের মতো অংশ থেকে। কিছু কিছু চকলেটে হোয়ে পাউডার ব্যবহার করা হয়। এই পাউডারে থাকে রেনেট নামের একটি উপাদান। এটি একটি প্রাণীজ উৎসেচক, যা পশুর পাকস্থলী থেকে পাওয়া যায়।
৪। বিয়ার: বিয়ার খুবই জনপ্রিয় একটি পানীয়। কিন্তু অধিকাংশ বিয়ারেও থাকে এমন একটি উপাদান, যা মোটেই নিরামিষ নয়। উপাদানটির নাম ইসিনগ্লাস। মূলত বিয়ারকে স্বচ্ছ ও সোনালি করতে এই উপাদানটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই উপাদানটি মাছের পটকার প্রক্রিয়াজাত রূপ।