পুরুষদের তুলনায় প্রতিষেধকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বেশি দেখা দিচ্ছে মহিলাদের শরীরে। ফাইল চিত্র
একই সঙ্গে করোনার প্রতিষেধক নিলেন মা ও মেয়ে। বাড়ি এসেই মেয়ের হাতে ব্যথা, জ্বর। মায়ের কোনও রকম সমস্যাই হল না। একেবারেই সুস্থ রয়েছেন তিনি। এমন তো ঘটছে ঘরে ঘরে।
কিন্তু প্রতিষেধক নেওয়ার পরে কেন কারও শরীর বেশি খারাপ হচ্ছে? এ দিকে, কারও আবার কিছুই হচ্ছে না? তার মানে কি সকলকে এক ধরনের প্রতিষেধক দেওয়া হচ্ছে না? এমন নানা প্রশ্ন অনেকের মনের মধ্যে ঘুরছে। কিন্তু এমনটা তো নয়। বরং এর পিছনে আছে অন্য কারণ।
কী কারণে তবে এমন ঘটছে? এক-একজনের ক্ষেত্রে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মাত্রা আলাদা হচ্ছে ঠিক কেন?
ব্যক্তি বিশেষে বদলে যায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। এক-একজনের শরীরে এক-এক ভাবে প্রভাব ফেলে একই ওষুধ। এ ছাড়াও খেয়াল রাখতে হবে আর একটি বিষয়। একজনের শরীরে সব প্রতিষেধক এক ভাবে প্রভাব ফেলবে না। হয়তো কোভিশিল্ড দিলে কারও জ্বর এল। সেই ব্যক্তিকে কোভ্যাক্সিন দিলে জ্বর নাও আসতে পারত। একটি অ্যান্টিজেন শরীরে প্রবেশ করার পরে কী ধরনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হবে, তা একেবারেই নির্ভর করে শারীরিক গঠনের উপরে।
এ ছাড়াও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার মাত্রা কিছুটা নির্ভর করে লিঙ্গ এবং বয়সের উপরে। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, পুরুষদের তুলনায় প্রতিষেধকের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বেশি দেখা দিচ্ছে মহিলাদের শরীরে। এর কারণ হিসেবে গবেষকেরা মনে করছেন, প্রতিষেধকে শরীরের বিভিন্ন হর্মোন আলাদা ভাবে সাড়া দিচ্ছে। ইস্ট্রোজেনের উপরে প্রতিষেধকের প্রভাব বেশি পড়ছে হয়তো। সে কারণে প্রদাহ তৈরি হচ্ছে কিছু মহিলার শরীরের ভিতরে। কারও বিশেষ কোনও ধরনের শারীরিক অসুস্থতা থাকলে, তারও প্রভাব পড়ে প্রতিষেধক নেওয়ার ক্ষেত্রে। যে কারণে প্রতিষেধক নেওয়ার পরে শরীরের ভিতরে হতে পারে প্রদাহ।