বড়দিনে কী কী উপহার দিতে পারেন প্রিয়জনকে? ছবি: প্রতীকী
বড়দিন প্রায় এসে গেল। ছোটদের অনেকেই এই দিনে অপেক্ষা করে থাকে সান্তার জন্য। মা-বাবাও সাধ্যমতো উপহার দিয়ে খুশি করেন তাদের মন। কিন্তু উপহার কি কেবল ছোটদেরই ভাল লাগে? বড়দের মন কি উপহার চায় না? মুখ ফুটে না বললেও প্রিয়জনের থেকে উপহার পেতে ভাল লাগে অনেকেরই। শুধু দেওয়াই নয়, প্রিয়জনকে নতুন কিছু একটা উপহার দিয়ে চমকে দিতে ভাল লাগে, যাঁরা উপহার দেন তাঁদেরও। এ বার বড়দিনে কী কী উপহার দিতে পারেন প্রিয়জনকে?
১। সময়: উপহার মানেই কি দামি জিনিস? অনেক সময় সব কিছু থাকার পরেও ভাল থাকে না মানুষের মন। কারণ, উপহারের থেকেও বেশি সঙ্গ চান মানুষ। কাজের চাপে দিনের একটি বড় সময় বাড়ির বাইরে থাকেন অনেকেই। ফলে স্বামী-স্ত্রী-সন্তান কিংবা বাবা-মায়ের সঙ্গে এক বেলা গল্প করারও সময় নেই অনেকের। এ বার বড়দিনে তাই ছুটি নিন কাজ থেকে। আগে থেকে কাউকে না জানিয়ে কেটে ফেলুন সিনেমার টিকিট কিংবা ভাড়া করে রাখুন রেস্তরাঁর টেবিল। একসঙ্গে সুন্দর একটি সন্ধ্যা কাটান।
২। চারাগাছ: বাগানের শখ থাকুক বা না থাকুক, ঘরের ভিতরে ছোট্ট টবে গাছ লাগানোর চল ক্রমেই বেড়ে চলেছে। পড়ার ঘরে টেবিলের পাশে রাখার জন্য পছন্দসই ক্যাকটাস কিনে দিন প্রেমিকাকে। সুন্দর চিনেমাটির টবে ছোট্ট একটি চারাই হয়ে উঠতে পারে এই বড়দিনে প্রিয়জনের মন ভাল করার শ্রেষ্ঠ উপায়। খুব একটা যত্নের প্রয়োজনও হয় না ক্যাকটাসের। কাজেই নেই যত্ন নেওয়ার বাড়তি ঝক্কিও।
৩। বই: বই আর বাঙালির সম্পর্কের রসায়ন নতুন করে বুঝিয়ে দিতে হয় না। কালের নিয়মে উপহার হিসাবে বই দেওয়ার প্রচলনে কিছুটা ভাটার টান আসলেও এখন মোবাইল, ট্যাবলেটে ক্লান্ত হতে হতে ফের বইয়ের দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছে তরুণ প্রজন্মের একাংশ। তা ছাড়া, পছন্দের বইয়ের মাধ্যমে মানুষের রুচির পরিচয় মেলে। কাজেই মনের কাছাকাছি যাঁদের অবস্থান, তাঁদের জন্য সবচেয়ে ভাল উপহার হতে পারে জয় গোস্বামীর ‘পাগলী তোমার সঙ্গে’ কিংবা রবি ঠাকুরের ‘শেষের কবিতা’।
৪। বৈদ্যুতিক সামগ্রী: প্রিয়জনের যদি বইপত্রে আগ্রহ না থাকে, তা হলে কিনে ফেলতে পারেন ব্লুটুথ স্পিকার বা হেডফোন। সম্প্রতি বাজারে ঢেলে বিকোচ্ছে মিনি স্পিকার। গান শুনতে ভালবাসেন যাঁরা, তাঁদের জন্য সবচেয়ে ভাল উপহার হতে পারে এটি।
৫। বোর্ড গেম: এ তো গেল বড়দের কথা। যাঁরা শিশুদের জন্য উপহার কিনতে চাইছেন, তাঁরা সাধারণ খেলনার বদলে কিনতে পারেন বোর্ড গেম। বিশেষত দাবার মতো খেলা মানসিক বিকাশে খুবই সহায়তা করে। এখন শিশুদের মানসিক বিকাশের উপযুক্ত নতুন ধরনের বেশ কিছু শিক্ষামূলক খেলাও বেরিয়েছে। এতে শিশুদের মনোরঞ্জন যেমন হবে, তেমনিই বিকাশ হবে মস্তিষ্কের। এই ধরনের খেলা মোবাইল বা ট্যাবে যে খেলা যায় না, তা নয়। তবে সবার সঙ্গে বসে খেললে একসঙ্গে থাকার আনন্দ অনেকখানি বাড়ে।