child care

Childcare: বাড়িতে সকলের করোনা হয়েছে? শিশুর দেখভাল করবেন কী ভাবে

শিশুর স্নান, খাওয়া, খেলা— সবই তো দেখতে হয়। দায়িত্ব ভাগ করে নিন নিজেদের মধ্যে। তবে সব কাজ করতে হবে খুব সাবধানে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০২১ ১৬:৪৯
শিশুকে সাবধানে রাখুন।

শিশুকে সাবধানে রাখুন। ফাইল চিত্র

করোনা ছড়ানোর হার কমছে ঠিকই। কিন্তু যে বাড়িতে ঢুকছে, সেখানে প্রায় সকলেই সক্রমিত হয়ে পড়ছেন। এমন ঘটনা এখনও দেখা যাচ্ছে পাড়ায় পাড়ায়। এ অবস্থায় সবচেয়ে চিন্তায় থাকতে হচ্ছে শিশুটির দেখভাল নিয়ে। বাকিরা না হয় বাইরে থেকে আনা খাবার খেলেন। কিন্তু শিশুটির খাবারের ব্যবস্থা হবে কী ভাবে?

Advertisement

এমন নানা চিন্তায় দিন কাটছে বহু মানুষের। সবের আগে খেয়াল রাখুন, যিনি তুলনায় সুস্থ আছেন, তাঁকেই শিশুটির দেখভালের অধিকাংশ ব্যবস্থা করতে হবে। তবে সব একা করতে গেলে, বিশ্রাম পাবেন না সেই ব্যক্তি। শিশুর স্নান, খাওয়া, খেলা— সবই তো দেখতে হয়। দায়িত্ব ভাগ করে নিন নিজেদের মধ্যে। কেউ তাকে খাওয়াবেন, তো অন্যজন স্নানের দায়িত্ব নেবেন। এ সব করতে হবে যথাসম্ভব দূরত্ব বজায় রেখে এবং মুখে দু’টি মাস্ক পরে। শিশুর জন্য যদি বাড়িতে হাল্কা চাল-ডাল ফুটিয়ে নিতে হয়, তবে তাও মাস্ক পরে এবং হাত ভাল ভাবে পরিষ্কার করার পর করতে হবে। সম্ভব হলে গ্লাভস্‌ পরে নেওয়া ভাল।

শিশুর নিজস্ব কিছু অভ্যাস এবং প্রয়োজন আছে। সে সব মেটাতে গেলে নিজেরা কী ভাবে চলবেন, সে দিকে নজর দিন। যেমন কোভিড রোগীর বিছানায় তাকে উঠতে দেওয়া চলবে না। তবে একেবারে চোখের আড়াল করবেন না। যে ঘরে কোভিড আক্রান্ত মা শুয়ে আছেন, সেই ঘরের ঠিক বাইরের অংশে শিশুকে খেলার ব্যবস্থা করে দিন। তাতে রোগীর কাছেও যাওয়া হবে না। আবার মাঝেমাঝে দরজার দিকে তাকালে মায়ের মুখ দেখতে পাবে সে। তাতে মন খারাপ কম হবে। তবে এমন সময়ে মাস্ক পরে থাকতে শেখান তাকে। আর ততটাও দূরে রাখার মতো বয়স যদি না হয় শিশুর, তবে নিজের খাটের থেকে কিছুটা দূরে ‘বেবি কট’ রাখুন। সেখান থেকে সেও আপনাকে দেখতে পাবে। আপনিও চোখে চোখে রাখতে পারবেন সন্তানকে। তবে কাছে যেতে হলে আবার ভরসা সেই মাস্ক আর গ্লাভস্। স্তন্যপান করানোর সময়েও সে নিয়ম মেনে চলুন।

বাবা-মা দু’জনেরই করোনা হলে, শিশুর সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তবে পরীক্ষা করানোর আগে ধরে নেবেন না যে সেও কোভিড পজিটিভ। অন্য মানুষদের সঙ্গে যেমন দূরত্ব বজায় রাখছেন, তার সঙ্গেও রাখার চেষ্টা করুন। প্রয়োজন ছাড়া শিশুর বেশি কাছে যাবেন না।

আরও পড়ুন
Advertisement