শীতের সময়েও কেন জরুরি সানস্ক্রিন? প্রতীকী ছবি।
গরমের সময়ে কড়া রোদের হাত থেকে ত্বককে বাঁচাতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন অনেকেই। কিন্তু শীতের সময়ে সানস্ক্রিন মাথার প্রয়োজন বোধ করেন না বেশির ভাগই। অনেকেই ভাবেন, শীতের মিঠে রোদে বুঝি ত্বকের ক্ষতি হবে না। কিন্তু এই ধারণা ভুল। শীতের রোদ যতই নরম হোক না কেন, সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচাতে সানস্ক্রিন ব্যবহার করতেই হবে।
শীতের সময়েও কেন জরুরি সানস্ক্রিন?
১) গরমের সময় হোক, বৃষ্টির দিন বা শীত, যে কোনও আবহাওয়াতেই সূর্যের বিকিরণ থেকে ত্বককে বাঁচানো খুব জরুরি। শীতকালে বায়ুর ওজন স্তরের ঘনত্ব কমে যায়। ফলে অতিবেগনি রশ্মির প্রভাব যায় বেড়ে। অতিবেগনি রশ্মির প্রভাবে ত্বকের কোষ মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ফলে র্যাশ, দাগছোপ পড়ে যাওয়ার সমস্যা তো হয়ই, পাশাপাশি ত্বকের ক্যানসারের আশঙ্কাও বাড়তে পারে।
২) সূর্য রশ্মি ত্বকে লাগলে তার বিভিন্ন রকম প্রভাব হতে পারে। ত্বক চিকিৎসক অতুল তানেজার কথায়, অতিবেগুনি রশ্মি ত্বকের সংক্রমণ ঘটায় অনেকের। অত্যধিক মেলানিন তৈরি হতে থাকে, তখন ত্বকের রং গাঢ় হয়ে যায়। এই বদল যে মুখ বা শরীরের বিশেষ কোনও অংশ জুড়ে সমান ভাবে হয়, তা নয়। বরং বলা যায়, একটি বড় অংশের খানিকটা জায়গার রং বদলাতে থাকে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই সেই বদলে যাওয়া রঙের বিশেষ অংশটি আলাদা করে নজরে পড়ে। ছিট ছিট দাগের মতো দেখা যায় ত্বকে। একে চিকিৎসার পরিভাষায় বলা হয় ‘স্কোয়ামাশ সেল কার্সিনোমা’। সে কারণেই বাইরে বেরোলে সানস্ক্রিন মাখার পরামর্শই দেন ত্বক চিকিৎসকেরা।
৩) শীতের সময় ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। সানস্ক্রিন না মাখলে চামড়া কুঁচকে গিয়ে বলিরেখা পড়তে পারে।
কী ভাবে মাখবেন সানস্ক্রিন?
১) অতিবেগনি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষার জন্য ন্যূনতম এসপিএফ ৩০ প্রয়োজন। যাঁরা দীর্ঘ সময়ে রোদে থাকেন তাঁরা এসপিএফ ৫০+ সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ভাল ফল পাবেন।
২) কেবলমাত্র মুখে নয়, ঘাড়ে, গলায় দুই হাতেও ভাল করে সানস্ক্রিন মাখতে হবে। খুব ভাল হয় যদি ময়েশ্চারাইজ়ারের সঙ্গে মিশিয়ে সানস্ক্রিন মাখেন।
৩) ত্বক সংবেদনশীল হলে কোনও রাসায়নিক মিশ্রিত, সুগন্ধি যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করবেন না। টাইটেনিয়াম ডাই-অক্সাইড আছে এমন সানস্ক্রিন ব্যবহার করাই ভাল।
৪) দিনের বেলা বাইরে বেরনোর ১৫ মিনিট আগে সানস্ক্রিন মাখতে হবে। আবার যদি বেশি ক্ষণ বাইরে থাকেন, তা হলে দু’ঘণ্টা অন্তর সানস্ক্রিন মাখলে ভাল হয়।