Saline Controversy

স্যালাইন-কাণ্ড: প্রসূতির পরে এ বার শিশুরও মৃত্যু! মেদিনীপুর মেডিক্যালে মারা গেল রেখার সন্তান

বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা নাগাদ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে মারা যায় রেখা সাউয়ের শিশুসন্তান। আগেই স্যালাইন-কাণ্ডে মেদিনীপুর মেডিক্যালেই মৃত্যু হয়েছিল এক প্রসূতি মামনি রুইদাসের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১০:৪২

—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।

স্যালাইন-কাণ্ডে এ বার মারা গেল সদ্যোজাত শিশুসন্তান। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা নাগাদ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের মাতৃমা বিভাগে মারা যায় রেখা সাউয়ের শিশুসন্তান। আগেই স্যালাইন-কাণ্ডে মেদিনীপুর মেডিক্যালেই মৃত্যু হয়েছিল এক প্রসূতি মামনি রুইদাসের। আর এক প্রসূতি রেখা বর্তমানে ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন।

Advertisement

সম্প্রতি সিজ়ারের পর পাঁচ প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন মেদিনীপুর মেডিক্যালে। তাঁদের মধ্যে মামনির মৃত্যু হয় গত শুক্রবার। বাকিদের অবস্থারও অবনতি হয়। তাঁদের কয়েক জনকে চিকিৎসার জন্য কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। রেখার চিকিৎসা অবশ্য মেদিনীপুর মেডিক্যালেই চলছিল। হাসপাতালের এইচডিইউ বিভাগে তিন দিন চিকিৎসা চলার পরে এখন অনেকটাই সুস্থ তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সন্তানের মৃত্যুর খবর তাঁকে জানানো হয়নি।

গত ৮ জানুয়ারি জন্মের পর থেকেই ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল রেখার সন্তানকে। জন্মের পর থেকে সন্তানের মুখ দেখতে পারেননি বাবা সন্তোষ সাউ এবং মা রেখা। ঠাকুমা পুষ্প সাউ বৃহস্পতিবার সকালে বলেন, “জন্মের পর এক বার দেখিয়েছিল। তার পর আর দেখিনি, কাচের ঘরে ছিল। ময়নাতদন্তের পর দেহ বাড়ি নিয়ে যাওয়া হবে।”

রেখা সাউ, মামনি রুইদাস, মাম্পি, মিনারা ও নাসরিন— এই পাঁচ প্রসূতি গত বুধবার সন্তান জন্মের পরে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। তাঁদের প্রস্রাব বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অভিযোগ, প্রসূতিদের ‘রিঙ্গার্স ল্যাকটেট’ স্যালাইন এবং ‘অক্সিটোসিন’ নামে এক ধরনের ওষুধ দেওয়া হয়। তার পরেই তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রসূতিদের নিম্নমানের স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।

শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় রবিবার রাতে মাম্পি, মিনারা এবং নাসরিনকে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। মেডিক্যাল বোর্ড গঠন করে তাঁদের চিকিৎসা শুরু হয়। বুধবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের তরফে জানানো হয়, মৃত মামনির সন্তান বিপন্মুক্ত। তাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

Advertisement
আরও পড়ুন