নানা ধরনের জ্যাকেট ব্যবহার করেই সকলের থেকে আলাদা করতে পারেন নিজেকে। ছবি: সংগৃহীত
শাল, জ্যাকেট, মাফলার, টুপি, সোয়েটার— শীতকাল মানেই পোশাকে সেই একঘেয়েমি। বিয়েবাড়ি কিংবা বন্ধুরবাড়ি হালকা পার্টি— সাজগোজে বৈচিত্র আনার খুব একটা সুযোগ থাকে না। অগত্যা শীতের ফ্যাশনে উলের উপর ভরসা রাখা ছাড়া উপায় নেই। সত্যিই কি তাই? একটু বুদ্ধি করে মাথা খাটিয়েও কিন্তু সাজে আনা যায় নিজস্বতা। বিভিন্ন জ্যাকেটের ব্যবহারে বদলে ফেলতে পারেন ফ্যাশনের সংজ্ঞা। শীতের সাজে জুবুথুব না হয়ে বরং নানা ধরনের জ্যাকেট ব্যবহার করেই সকলের থেকে আলাদা করতে পারেন নিজেকে।
জিনসের জ্যাকেট
শার্ট কিংবা শাড়ি— উপরে একটা ডেনিম জ্যাকেট চাপিয়ে নিলে আশি শতাংশ সাজ সম্পূর্ণ হয়ে যায়। ডেনিম এমনিতে খুব মোটা হয়। ফলে ঠান্ডা লাগার কোনও আশঙ্কা নেই। অন্য দিকে ডেনিম পরলে দেখতেও সপ্রতিভ লাগে। একটা আলাদা লুক তৈরি হয়। এমনিতে এর মতো ঝক্কিহীন পোশাক খুব কমই আছে। বেরোনোর আগে পরে নিলেই হল।
এমব্রয়ডারি জ্যাকেট
উলের তৈরি জ্যাকেট পরলে অনেকেরই শরীরে অস্বস্তি হয়। র্যাশও বেরিয়ে যায় কিছু ক্ষেত্রে। এ ক্ষেত্রে মেরিনো জ্যাকেট কিন্তু খুব কার্যকর হতে পারে। মেরিনো সাধারণ উলের থেকে একটু আলাদা। কোনও সিন্থেটিক কোনও উপাদান মেশানো থাকে না এতে। এমব্রয়ডারি করা মেরিনো জ্যাকেটি উলের বিকল্প হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন। পশ্চিমি কোন পোশাকের সঙ্গেও পরতে পারেন। মন্দ লাগবে না।
টুইড জ্যাকেট
পশ্চিমি পোশাকের সঙ্গে পরা যায়, এমন জ্যাকেটের আরও একটি বিকল্প হল টুইড জ্যাকেট। এই জ্যাকেট সাধারণত জিন্স কিংবা স্কার্টের সঙ্গে পরা হলেও, চাইলে শাড়ির সঙ্গেও অনায়াসে পরতে পারেন। তবে সেই সঙ্গে আনুষঙ্গিক সাজের একটা ভারসাম্য থাকা চাই।
লেদার জ্যাকেট
শাড়ির সঙ্গে কিংবা পশ্চিমি কোনও পোশাক— লেদার জ্যাকেট সব কিছুর সঙ্গেই খুব ভাল যায়। শীতও মানায় আবার দেখতেও সুন্দর লাগবে— এমন পোশাকই সাধারণত পছন্দ করেন অনেকে। লেদার জ্যাকেট তেমনই একটি পোশাক। শীতে ঘরোয়া পার্টি, জমকালো অনুষ্ঠানের মধ্যমণি হতে পরতে পারেন বাদামি রঙের লেদার জ্যাকেট।